• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯

চীন ও পাকিস্তানকে চাপে রাখতে নতুন কামান কিনলো ভারত

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চীনকে চাপে ফেলতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। সোমবার রাজস্থানের পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জে মার্কিন তৈরি এম-৭৭৭ আল্টা-লাইট হাউটজার থেকে এক্সক্যালিবার আর্টিলারি গোলার পরীক্ষামূলক বর্ষণ সম্পন্ন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

৫ হাজার ৭০ কোটি রুপি মূল্যের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ হাজার ৩৭ কোটি টাকারও বেশি) এ অস্ত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে জানিয়েছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারে ১৪৫ টি হাউইটজারের অর্ডার দেয় ভারত। ভারতের সাবেক ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল সুব্রত সাহার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানায়, এটির জন্য ভারতের সেনাবাহিনীর বিশেষ আগ্রহ ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০২১ সালের মধ্যে ১৪৫টি হাউইটজার পাবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

দ্যা এশিয়ান এজ জানায়, এ প্রযুক্তিটি শত্রুর পজিশন নির্ধারণ করে জনবহুল এলাকাতে কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নিখুঁতভাবে আক্রমণ করতে পারবে। সোমবার এ নিয়ে দিল্লির মার্কিন দুতাবাস তাদের অফিসিয়াল টুইটারে ছবিসহ টুইট করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল আর্টিলারি লে. জেনারেল রবি প্রাসাদসহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিনিয়র নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

১৫৫ এমএম ট্রাজেক্টরি কারেক্টেবল মিউনিশন-সংবলিত এক্সক্যালিবার আর্টিলারি জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোলাগুলোর নিখুঁতভাবে টার্গেটে আঘাত হানার জন্য। এতে মধ্যপথেও গতিপথ সংশোধন করার কাজ করা যায়। সোমবার এটিও পরীক্ষা করা হয়। ২০১৮ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে এম-৭৭৭এ২ আল্টা-লাইট হাউটজার হস্তান্তর করা হয়।

একনজরে এম ৭৭৭ কামান

জিনিউজ জানায়, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী প্রথম এম ৭৭৭ কামানের ব্যবহার করে। সাধারণ কামানের থেকে অনেক হালকা এই অস্ত্রের কার্য়কারিতা অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সৌদি আরব ব্যবহার করে এই কামান। গত বছর এক টুইটে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টুইট করে জানিয়েছিলেন, ১৫৫ এমএম এর এম ৭৭৭ হালকা কামানটি তৈরি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আপাতত ২৫টি কামান এসেছে। বাকি ১২০টি কামান ভারতে তৈরি হবে। এইসব কামান হেলিকপ্টারে বয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। ফলে পার্বত্য এলাকায় রাস্তা না থাকলেও লড়াইয়ের সময়ে তা বহনের কোনও সমস্যা নেই।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • আন্তর্জাতিক এর আরও খবর
error: Content is protected !!