• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পাকিস্তানে রাজনীতিবিদদের মধ্যে ইমরানই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
পাকিস্তানে রাজনীতিবিদদের মধ্যে ইমরানই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়
মাঠের রাজা ইমরান খান।

পাকিস্তানে রাজনীতিবিদদের মধ্যে ইমরানই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বলে ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন জরিপে উঠেে এসেছে। এজন্য সাবেক এ কাপ্তানকে ঠেকাতে মরিয়া পাকিস্তানের শক্তিশালি সেনাবাহিনী ও বিরোধীদলগুলো। এমনকি পাকিস্তান অন্তবর্তী সরকার প্রধানও বিরোধীদের সুরে কথা বলছে। তিনি বলছেন পিটিআই প্রধানকে ছাড়াও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ সম্ভব।

গত বছর থেকে পাকিস্তানের ‘অনিশ্চিত’ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খান। বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন তিনি। তবে বন্দি থাকলেও দেশের মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় পিটিআইপ্রধান।

আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইমরানকে নিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) নেতা মিফতাহ ইসমাইল। সম্প্রতি করা এক জনমত জরিপের বরাতে এ তথ্য তিনি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ।

পিএমএল-এনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে পাকিস্তানে একটি নতুন দল নিয়ে আসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন মিফতাহ ইসমাইল। এ কাজে তাকে সঙ্গে দিচ্ছেন শহীদ খাকান আব্বাসি ও মুস্তাফা খোখার। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইমরান খানকে নিয়ে এ তথ্য দিলেন ইসমাইল।

ইসমাইল বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে তারা এই জনমত জরিপ করেছেন। সেখানে দেখা যায়, দেশের সব রাজনীতিবিদদের মধ্যে ইমরান সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।

এদিকে গতকাল ইমরান খানকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগার থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে নেওয়া হয়েছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজার পর থেকেই পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে বন্দি ছিলেন ইমরান খান। তবে সাজাপ্রাপ্তের পর থেকেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় অ্যাটক কারাগারের পরিবর্তে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন করে আসছিলেন ইমরান ও তার দল পিটিআই। অবশেষে গতকাল সোমবার ইমরান খানকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)।

গত ৫ আগস্ট ইসলামাবাদের জেলা বিচারিক আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর থেকে অ্যাটক কারাগারেই আছেন ইমরান। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (এএইচসি) এই সাজা স্থগিত করেন। কিন্তু অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে রিমান্ডে থাকায় তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না।

অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে ইমরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) যে অভিযোগ দায়ের করেছে, তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটি গোপনীয় বার্তার বিষয়বস্তু তিনি জনসমক্ষে ফাঁস করে দিয়েছেন। এ ছাড়া এটিকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করেছেন।

সাইফার মামলা একটি কূটনৈতিক বার্তা সম্পর্কিত, যা ইমরানের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে বলে জানা যায়। পিটিআই অভিযোগ করে বলেছে, হারিয়ে যাওয়া এই বার্তাটিতে যুক্তরাষ্ট্র ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এই মামলায় পিটিআইর ভাইস চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • আন্তর্জাতিক এর আরও খবর
error: Content is protected !!