কক্সবাজার জেলার মহিষখালির ‘সিরিয়াল কিলার’ আজরাইল প্রকাশ লোকমান অবশেষে র্যাবের ফাঁদে আটক হয়েছে। এতে স্বস্তি নেমে এসেছে এলাকায়।
চারটি হত্যা মামলাসহ ১০ মামলায় দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’ মহেশখালীর সক্রিয় জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখা (রিক্রুটমেন্ট উইং) এর প্রধান মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমান।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে তার সদর্প পদচারণা। ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ শরীফ চেয়ারম্যানের কনিষ্ঠ পুত্র, কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান এবং মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ২১ মে ২০১১ তারিখে সরকারি বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কোরআনে হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখন্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেয়। লোকমান ও তার সহযোগীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও ৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই সালের ১১ জুন তারিখে কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় দরিদ্র মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।
র্যাব জানায়, র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মহেশখালীর দুর্গম সোনাদিয়া দ্বীপের আস্তানায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ ভোরে অভিযান পরিচালনা করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমানকে (৫৩) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মো. লোকমান ওরফে আজরাইল লোকমান (৫৩) মহেশখালীর কালারমারছড়ার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।