ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ করলেন বাইডেন

  • আপডেট: ১২:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩৭

জো বাইডেন-ছবি নতুনেরকথা।

রিপাবলিকান চরমপন্থি হিসেবে আখ্যা দিয়ে জো বাইডেন বলেন ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এমনকি রিপাবলিকানদের সবাই মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন নীতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার টেম্পে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক মার্কিন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (এমএজিএ) ক্যাম্পেইন আসলে একটি চরমপন্থি আন্দোলন। এটি মার্কিন গণতন্ত্রের মৌলিক ধারণায় বিশ্বাস করে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার অ্যারিজোনার টেম্পে প্রয়াত সিনেটর জন ম্যাককেইনকে সম্মান জানানোর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বাইডেন। সেখানে তিনি বলেন, রিপাবলিকানদের সবাই এই আন্দোলন বা ক্যাম্পেইনকে মেনে চলে না এবং এই দলটি বর্তমানে ‘মাগা (এমএজিএ) রিপাবলিকান চরমপন্থিদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে’।

তিনি বলেন, ‘যেমনটি আমরা জানি— এই দলটির সবচেয়ে বড় এজেন্ডা হচ্ছে আমেরিকান গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করা।’

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে আবারও নির্বাচনের লড়াইয়ে নামার কথা বহু আগে থেকেই বলে আসছেন জো বাইডেনও।

২০২০ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন বাইডেন। তবে অতীতের সেই পরাজয়ের পরও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে থাকা রিপাবলিকান পার্টির অন্য নেতাদের চেয়ে এবার জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।

আর তাই সামনের বছরের নির্বাচনে বাইডেন এবং ট্রাম্প ফের মুখোমুখি হতে পারেন। মূলত সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করার বিষয়টিকে প্রধান ইস্যু হিসেবে সামনে এনেছেন জো বাইডেন।

আর এটি করার মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট তার রিপাবলিকান পূর্বসূরি ট্রাম্পের অবস্থানকে দুর্বল করতে জোরালো আঘাত হানতে পারবেন বলে আশা করছেন।

আল জাজিরা বলছে, বৃহস্পতিবার নিজের এই বক্তৃতার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার পূবসূরি ট্রাম্পের নাম খুব কমই উল্লেখ করেছিলেন। তার পরও বাইডেনের বক্তব্যের বেশ বড় অংশজুড়ে ছিলেন ট্রাম্প। মূলত এদিনের বক্তব্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল উলটে দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার কথাই উল্লেখ করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে জনগণের শাসন। রাজাদের শাসন নয়, অর্থের শাসন নয়, পরাক্রমশালীদের শাসন নয়। গণতন্ত্র মানে দলমত নির্বিশেষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সম্মান করা। নির্বাচনে জিতুন বা হারুন, ফল মেনে নিতে হবে।’

বাইডেন অবশ্য প্রায়ই ট্রাম্পর্কে তার কঠোর সমালোচনা করে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কারণ গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই থাকা উচিত নয়, ট্রাম্প এবং তার এমএজিএ (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) রিপাবলিকানরা আমেরিকান গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। আমি সর্বদা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করব, সমুন্নত রাখব এবং (গণতন্ত্রের জন্য) লড়াই করব।’

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

শিশুর মধ্যে কোরআনি শিক্ষা থাকলে ভবিষ্যতে কল্যাণময় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সে ভূমিকা রাখবে-মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী

ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ করলেন বাইডেন

আপডেট: ১২:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রিপাবলিকান চরমপন্থি হিসেবে আখ্যা দিয়ে জো বাইডেন বলেন ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এমনকি রিপাবলিকানদের সবাই মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন নীতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার টেম্পে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক মার্কিন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (এমএজিএ) ক্যাম্পেইন আসলে একটি চরমপন্থি আন্দোলন। এটি মার্কিন গণতন্ত্রের মৌলিক ধারণায় বিশ্বাস করে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার অ্যারিজোনার টেম্পে প্রয়াত সিনেটর জন ম্যাককেইনকে সম্মান জানানোর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বাইডেন। সেখানে তিনি বলেন, রিপাবলিকানদের সবাই এই আন্দোলন বা ক্যাম্পেইনকে মেনে চলে না এবং এই দলটি বর্তমানে ‘মাগা (এমএজিএ) রিপাবলিকান চরমপন্থিদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে’।

তিনি বলেন, ‘যেমনটি আমরা জানি— এই দলটির সবচেয়ে বড় এজেন্ডা হচ্ছে আমেরিকান গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করা।’

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে আবারও নির্বাচনের লড়াইয়ে নামার কথা বহু আগে থেকেই বলে আসছেন জো বাইডেনও।

২০২০ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন বাইডেন। তবে অতীতের সেই পরাজয়ের পরও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে থাকা রিপাবলিকান পার্টির অন্য নেতাদের চেয়ে এবার জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।

আর তাই সামনের বছরের নির্বাচনে বাইডেন এবং ট্রাম্প ফের মুখোমুখি হতে পারেন। মূলত সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করার বিষয়টিকে প্রধান ইস্যু হিসেবে সামনে এনেছেন জো বাইডেন।

আর এটি করার মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট তার রিপাবলিকান পূর্বসূরি ট্রাম্পের অবস্থানকে দুর্বল করতে জোরালো আঘাত হানতে পারবেন বলে আশা করছেন।

আল জাজিরা বলছে, বৃহস্পতিবার নিজের এই বক্তৃতার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার পূবসূরি ট্রাম্পের নাম খুব কমই উল্লেখ করেছিলেন। তার পরও বাইডেনের বক্তব্যের বেশ বড় অংশজুড়ে ছিলেন ট্রাম্প। মূলত এদিনের বক্তব্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল উলটে দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার কথাই উল্লেখ করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে জনগণের শাসন। রাজাদের শাসন নয়, অর্থের শাসন নয়, পরাক্রমশালীদের শাসন নয়। গণতন্ত্র মানে দলমত নির্বিশেষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সম্মান করা। নির্বাচনে জিতুন বা হারুন, ফল মেনে নিতে হবে।’

বাইডেন অবশ্য প্রায়ই ট্রাম্পর্কে তার কঠোর সমালোচনা করে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কারণ গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই থাকা উচিত নয়, ট্রাম্প এবং তার এমএজিএ (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) রিপাবলিকানরা আমেরিকান গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। আমি সর্বদা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করব, সমুন্নত রাখব এবং (গণতন্ত্রের জন্য) লড়াই করব।’