চাঁদপুরের ৪১ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে

  • আপডেট: ০১:২৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩৬

আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে চাঁদপুরের ৪১টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৪১ গ্রামে আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

ঈদুল ফিতরের প্রধান জামায়াত সাদ্রা মাদরাসা মাঠ ঈদগাঁহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামায়াত পড়ান সাদ্রা দরবার শরীফের গদ্দীনীনশীন পীর মাওলানা মো. আরিফ চৌধুরী।

একই স্থানে মাঝার সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামায়াত পড়ান মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আলমাদানী

বাংলাদেশে একদিন ঈদ করা প্রসঙ্গে , সাদ্রা দরবার শরীফের পীর শায়েখ আরীফ চৌধুরী বলেন, বিশে^র ৫৫টি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে ৫৪টি মুসলিম রাষ্ট্রে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। শুধু মাত্র বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর একটি পক্ষ পালন করছেন। একদিন সবার মাঝেই বুঝ আসবে। সেইদিন বেশী দূরে নয়। যেদিন বিশে^র সকল মুসলমান একই দিনে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করবেন।

তিনি বলে, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি।

চাঁদপুরে আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। এখানে ১৯৩০ সালে তিনি একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যে মাদরাসাটি বর্তমানে সাদ্রা ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় উন্নীত হয়েছে।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, আমার দাদা মাওলানা ইসহাক (রহ.) ১৯২৮ সালে সাল থেকে সারা দেশে একই দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপনের জন্য আন্দোলন করেছে। সারাদেশে এর প্রতিফলন হচ্ছে। ধীরে ধীরে বিশে^র মানুষ একই দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন।

যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতুল উদযাপন হবে:
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, ডাটরা শিবপুরম চাঁদপুর সদরের মনিহার, প্রতাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, বাসারা, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

চাঁদপুরের ৪১ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে

আপডেট: ০১:২৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৪১ গ্রামে আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

ঈদুল ফিতরের প্রধান জামায়াত সাদ্রা মাদরাসা মাঠ ঈদগাঁহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামায়াত পড়ান সাদ্রা দরবার শরীফের গদ্দীনীনশীন পীর মাওলানা মো. আরিফ চৌধুরী।

একই স্থানে মাঝার সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামায়াত পড়ান মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আলমাদানী

বাংলাদেশে একদিন ঈদ করা প্রসঙ্গে , সাদ্রা দরবার শরীফের পীর শায়েখ আরীফ চৌধুরী বলেন, বিশে^র ৫৫টি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে ৫৪টি মুসলিম রাষ্ট্রে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। শুধু মাত্র বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর একটি পক্ষ পালন করছেন। একদিন সবার মাঝেই বুঝ আসবে। সেইদিন বেশী দূরে নয়। যেদিন বিশে^র সকল মুসলমান একই দিনে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করবেন।

তিনি বলে, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি।

চাঁদপুরে আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। এখানে ১৯৩০ সালে তিনি একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যে মাদরাসাটি বর্তমানে সাদ্রা ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় উন্নীত হয়েছে।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, আমার দাদা মাওলানা ইসহাক (রহ.) ১৯২৮ সালে সাল থেকে সারা দেশে একই দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপনের জন্য আন্দোলন করেছে। সারাদেশে এর প্রতিফলন হচ্ছে। ধীরে ধীরে বিশে^র মানুষ একই দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন।

যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতুল উদযাপন হবে:
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, ডাটরা শিবপুরম চাঁদপুর সদরের মনিহার, প্রতাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, বাসারা, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।