চট্টগ্রামে কলেজে ছাত্রদলের উপর ছাত্র শিবিরের হামলা

  • আপডেট: ১২:২৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামে কলেজে আবার ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। শুরুতে বাকবিতণ্ডা, পরে হাতাহাতি— ঘটনা গড়িয়েছে এভাবে। ছাত্রদল এ ঘটনার জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছে। শিবির বলছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের হাতাহাতি হয়েছে। এতে তারা জড়িত নয়।

চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার তিন মাসের মাথায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কাইয়ুম চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে শোডাউন করেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে চট্টগ্রাম কলেজে শেরেবাংলা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।

ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, তাদের কয়েকজন কর্মী কলেজে নিয়মিত ক্লাসে অংশ নিতে গেলে কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির নেতৃত্বে শিবিরকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের নেতাদের অভিযোগ, ছাত্রদল নেতারা বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’রা তাদের বাধা দেয়।

ওমর ফারুক বলেন, ‘শিবিরের হামলায় আরও আহত হয়েছেন রাজনীতিবিজ্ঞান মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জাহেদুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের রিদুয়ান ইসলাম, মোহাম্মদ কায়েস ও মোর্শেদসহ আরও কয়েকজন।’

এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক সিরাজী মানিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ছাত্রদল বেশ কয়েকবার ক্যাম্পাসে এসেছে। এ নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। আজকেও ছাত্রদল লিফলেট নিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে এসেছিল। সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেওয়ার পর এ নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে।’

কিন্তু হামলায় যাদের নাম এসেছে, তারা তো শিবিরকর্মী হিসেবে পরিচিত— এমন প্রশ্নের উত্তরে সিরাজী মানিক বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে শিবিরের কোনো কার্যক্রম নেই। ছাত্রলীগের স্টাইলে ছাত্রদল সবকিছুর দায় শিবিরের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। হাতাহাতির ঘটনায় যাদের নাম এসেছে, তারা ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।’

গত বছরের ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ হওয়ার তিন মাসের মাথায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কাইয়ুম চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে শোডাউন করেন। সেখানে শিবিরের নেতাদেরও তার সঙ্গে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাদিক কাইয়ুম এসেছিলেন। উনি সমন্বয়ক হলেও শিবিরের নেতা ছিলেন। সে কারণে ছাত্রশিবিরের দু একজন তো সঙ্গে থাকতে পারেই।’

ছাত্রদল নেতারা অবশ্য আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন, ছাত্রশিবিরকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই কলেজ প্রশাসন চট্টগ্রাম কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে কলেজে ছাত্রদলের উপর ছাত্র শিবিরের হামলা

চট্টগ্রামে কলেজে ছাত্রদলের উপর ছাত্র শিবিরের হামলা

আপডেট: ১২:২৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামে কলেজে আবার ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। শুরুতে বাকবিতণ্ডা, পরে হাতাহাতি— ঘটনা গড়িয়েছে এভাবে। ছাত্রদল এ ঘটনার জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছে। শিবির বলছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের হাতাহাতি হয়েছে। এতে তারা জড়িত নয়।

চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার তিন মাসের মাথায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কাইয়ুম চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে শোডাউন করেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে চট্টগ্রাম কলেজে শেরেবাংলা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।

ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, তাদের কয়েকজন কর্মী কলেজে নিয়মিত ক্লাসে অংশ নিতে গেলে কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির নেতৃত্বে শিবিরকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের নেতাদের অভিযোগ, ছাত্রদল নেতারা বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’রা তাদের বাধা দেয়।

ওমর ফারুক বলেন, ‘শিবিরের হামলায় আরও আহত হয়েছেন রাজনীতিবিজ্ঞান মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জাহেদুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের রিদুয়ান ইসলাম, মোহাম্মদ কায়েস ও মোর্শেদসহ আরও কয়েকজন।’

এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক সিরাজী মানিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ছাত্রদল বেশ কয়েকবার ক্যাম্পাসে এসেছে। এ নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। আজকেও ছাত্রদল লিফলেট নিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে এসেছিল। সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেওয়ার পর এ নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে।’

কিন্তু হামলায় যাদের নাম এসেছে, তারা তো শিবিরকর্মী হিসেবে পরিচিত— এমন প্রশ্নের উত্তরে সিরাজী মানিক বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে শিবিরের কোনো কার্যক্রম নেই। ছাত্রলীগের স্টাইলে ছাত্রদল সবকিছুর দায় শিবিরের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। হাতাহাতির ঘটনায় যাদের নাম এসেছে, তারা ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।’

গত বছরের ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ হওয়ার তিন মাসের মাথায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কাইয়ুম চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসে শোডাউন করেন। সেখানে শিবিরের নেতাদেরও তার সঙ্গে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাদিক কাইয়ুম এসেছিলেন। উনি সমন্বয়ক হলেও শিবিরের নেতা ছিলেন। সে কারণে ছাত্রশিবিরের দু একজন তো সঙ্গে থাকতে পারেই।’

ছাত্রদল নেতারা অবশ্য আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন, ছাত্রশিবিরকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই কলেজ প্রশাসন চট্টগ্রাম কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে।