• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৯

যেভাবে মানসিক চাপ সামলে উঠবেন

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
কারণে, অকারণে টেনশন হয়? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তা হলে সাবধান হয়ে যান। বর্তমান যুগে এই টেনশনই কিন্তু ডেকে আনে গুরুতর সব শারীরিক সমস্যা। টেনশন শুধুই স্ট্রেস বাড়ায় এবং জীবনকে আরও জটিল করে দেয়। তাই টেনশন কী ভাবে দূর করবেন তার জন্য কিছু পদক্ষেপের কথা আলোচনা করা হল-

১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: স্ট্রেস কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই যোগ ব্যায়াম। যাঁরা প্রচন্ড মানসিক চাপে ভুগছেন প্রথমেই তাঁদের শরীরচর্চা ও যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত যোগ ব্যায়ামে শরীর থেকে এন্ডোরফিন নামে এক হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা হ্যাপি হরমোন নামে পরিচিত। এই হ্যাপি হরমোনের কারণে আপনি নিজেও থাকবেন হাসি-খুশি।

২. সুষম খাবার: জাঙ্ক ফুড বা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার ছেড়ে ডায়েটে সুষম খাবার রাখুন। টাটকা ফল-সবজি খান। দুধ চা এবং কফি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। সকালের খাবার কখনই মিস করবেন না। প্রতিদিন এক মেনু না রেখে তাতে বদল করবেন। সুষম ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার শরীরকে স্বাস্থ্যকর ও মনকে ভাল রাখে। চট করে অবসাদ মনে দানা বাধে না।

৩. ঘুম: এখানকার দিনে যা কাজের চাপ তাতে ঘুমানোর কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। কিন্তু ভাল ঘুম স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। কারণ ঘুম শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। তাই ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

৪. পছন্দের কাজগুলো করুন: গতানুগতিক কাজের বাইরে যে কাজ করতে মন চায় সেটা করুন। যদি দেশি-বিদেশি রান্না করতে ভাল লাগে তাহলে সেটা করুন। যদি নাচ-গানে আগ্রহ থাকে তাহলে বয়সের চিন্তা ছেড়ে পছন্দের কাজে সময় দিন। মোদ্দা কথা, যে কাজ আনন্দ দেয় সেটাই করুন।

৫. নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন: মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সাধারণ মানুষের সাধ্যি নয়। না চাইলেও হাজারো চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবেই। কিন্তু কোনও খারাপ অভ্যাস ছাড়তে গেলে সেটিকে ভাল অভ্যাসের সঙ্গে ‘রিপ্লেস’ করুন। তাই মনে খারাপ চিন্তা এলে ভাল কিছু ভাবুন। সাইকোলজি বলে, আপনি যেটা সারাদিন ভাববেন সেটা আপনার কাজে, ব্যবহারে প্রকাশ পায়। খারাপ চিন্তা করলে ফল খারাপ আসবে। তাই ইতিবাচক বা ভাল কিছু ভাবুন। জীবনে সুখী থাকবেন।

৬. নিজের জন্য সময় বার করুন: নিজেকে ভাল না বাসলে সে কাউকে খুশি করতে পারে না। তাই সবার আগে নিজের কথা ভাবুন। সারাদিনের মধ্যে কিছু সময় কেবলমাত্র নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন। সেই সময় বই পড়ুন বা রূপচর্চা করুন বা কেনাকাটা করুন বা নিজের সঙ্গে কথা বলুন। মোদ্দা কথা, আধঘণ্টার জন্য হলেও নিজেকে নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকুন। দেখবেন এতে স্ট্রেস অনেকটা কম লাগবে।

৭. স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন: নিজেকে বোঝান টেনশন করে কোনও লাভ নেই। সব কাজ নিজের মর্জি মতো হবে এমনটা নয়। সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই চিন্তা করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। তা টেনশন থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন।

৮. এক্সপেক্টেশন করা ছেড়ে দিন: আমরা অন্যের কাছ থেকে এত কিছু আশা করি, কিন্তু সেই আশা পূরণ না হলে ভেঙে পড়ি। সেখান থেকে আসে হতাশা। এবং ধীরে ধীরে তৈরি হয় স্ট্রেস। তাই কারোর কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • স্বাস্থ্য কথা এর আরও খবর
error: Content is protected !!