• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ জুন, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ৮ জুন, ২০২০

মতলব উত্তরে গৃহবধুকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী আটক

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ফাইল ছবি।

মতলব উত্তর প্রতিনিধি:

এক গৃহবধুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উঠিয়ে এনে ধর্ষণ করার পর তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাত বন্ধু। ধর্ষণের পর ওই গৃহবধু বিয়ের প্রস্তাব দিলে কেউই রাজি হয়নি। হত্যার পরিকল্পনা টের পেয়ে কৌশলে ওই গৃহবধু বেঁচে আসার পর ঘটনাটি ফাঁস হয়। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নওদোনা গ্রামে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ও এ ঘটনার প্রধান পরিকল্পনাকারী নওদো গ্রামের মতিন বেপারীর ছেলে জনিকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, ওই গৃহবধু সাবিনা আক্তার তার শ্বশুড় বাড়ি বদরপুর গ্রামে থাকতেই জনির সাথে যোগাযোগ হতো। কিছুদিন আগে সে তার পিতার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাঊদকান্দিতে চলে যায়। গত ৫ জুন দুপুরে জনি তাকে মুঠোফোনে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ডেকে আনে মতলব উত্তরের নওদোনা গ্রামে। নিশ্চিন্তপুর স্কুলের পশ্চিম পাশের আয়েত আলী বেপারীর পরিত্যাক্ত বাড়িতে রেখে তাকে জনি ও তার ৬ বন্ধু নওদোনা গ্রামের নুরু পাঠানের ছেলে শাহাদাত, পাঠানচক গ্রামের নিজাম মীরের ছেলে রাব্বি, ব্রাহ্মনচক গ্রামের জলিল ঢালীর ছেলে বাবু ঢালী, নওদোনা গ্রামের তাজুলের ছেলে এনামুল, ভাইগারচক গ্রামের আমিনুলের ছেলে শুভ ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামেরা ইব্রাহিম সরকারের ছেলে রায়হান সরকার মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সাবিনা বিয়ের প্রস্তাব করলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বিষয়টি সে বুজতে পেরে গত ৬ জুন বিকালে নিশ্চিন্তপুর স্কুল মাঠে এসে ডাক-চিৎকার দিলে ঘটনাটি ফাঁস হয়। পরে জনির দাদা রহমান বেপারীর জিম্বায় মেয়েটিকে রাখা হয়। পরদিন ৭ জুন সকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ও জনিকে আটক করে।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে এনে ধর্ষণ করা হয়েছে। এখন তাকে কেউই বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সাবিনা আক্তার বাদী হয়ে ধর্ষণ ও অপহরণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ০৮, তারিখ ০৮/০৬/২০২০।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • মতলব উত্তর এর আরও খবর
error: Content is protected !!