শাহরাস্তিতে শোরশাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পানিতে বন্দি

  • আপডেট: ১২:১৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৩
বছরের প্রায় ৬ মাসই পানিবন্দি থাকে কোমলমিতি শিক্ষার্থীরা

শাহরাস্তি (১৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার)

শারাস্তিতে পানির গেঁড়াকলে শোরশাক সপ্রাবির শিক্ষার্থীরা। বর্ষা এলেই পানিতে তলিয়ে যায় শোরশাক সপ্রাবির আঙ্গিঁনা। ওই জলাবদ্ধতার বেড়াজালে পড়ে স্কুলের ২শ’৪০ জন শিক্ষার্থী কার্যত হয়ে পড়ে অবরুদ্ধ।

এ সময়টায় হাতের নাগালে পানি থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দিনানিপাত করতে হয় তাদের। এমন অবস্থা শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউপি’র শোরশাক সপ্রাবিতে। সপ্রাবি সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র এবং সরজমিনে দেখা যায়, ১৯৩০ সালে বিদ্যালয়টি নিচু ভূমিতে স্থাপিত হয়। কালের বিবর্তনে সময়ের ব্যবধানে চারপাশের রাস্তাসহ জনবসতি স্থানসমূহ মাটি ভরাটে উঁচু হয়ে এটি সেখানেই রয়ে যায়। তার দক্ষিন পাশে রয়েছে বিশালাকারের একটি পুকুর।

বর্ষা এলেই স্কুলটি ২ দিক পানিতে সহ মাঠটি পানি থইথই করে। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে একটি পাঁকা ভবন, ডান দিকে একটি পরিত্যাক্ত ভবন, অন্যদিকে একটি সরু ইটের সলিং এ জড়োসড়ো পথ (রাস্তাটি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র চলার অবলম্বন। এ সময়টায় বিদ্যালয় এসে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে হয়ে পড়ে কার্যত জলাবদ্ধতায় অবরুদ্ধ্ কারণ বর্ষা এলে বিদ্যালয় আঙ্গিঁনাসহ একমাত্র খেলার মাঠটি পানিতে হয় টইচুম্বুর।

৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান(১০) জানায়, ওই জলাবদ্ধতায় তাদের খেলার মাঠ, পয়ঃনিষ্কাশণ, বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং কাব স্কাউট এর মত কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সপ্রাবির প্রধান শিক্ষিকা খোদেজা বেগম বলেন, দীর্ঘ অনেক বছর জলবায়ুর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অতিবৃষ্টির কারনে আমাদের এ সপ্রাবির আঙ্গিঁনা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তিনি এখানে যোগদানের পর গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবহিত করেন বলে দাবি করেন।

স্থানীয় পুস্তক ব্যবসায়ী রিপন (৪০) জানান, বিষয়টি বারবার স্থানীয়রা সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিতে আনার পরও কার্যত কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। যার ফলে সম্প্রতি সময়ে বিদ্যালয়টি ছুটির পর মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের বই খাতা নিয়ে বিদ্যালয় ভবনটির সম্মুখে পানির কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে শিক্ষার্থীরা জানান বেশিরভাগ সময়ে ছোট বাচ্চা শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের চোখের আড়ালে ওই জমে থাকা পানিতে খেলা করতে যায়, তাতে যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার বিষয়টি অবগত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতার কথা আমি শুনেছি, সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছি।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

শাহরাস্তিতে শোরশাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পানিতে বন্দি

আপডেট: ১২:১৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বছরের প্রায় ৬ মাসই পানিবন্দি থাকে কোমলমিতি শিক্ষার্থীরা

শাহরাস্তি (১৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার)

শারাস্তিতে পানির গেঁড়াকলে শোরশাক সপ্রাবির শিক্ষার্থীরা। বর্ষা এলেই পানিতে তলিয়ে যায় শোরশাক সপ্রাবির আঙ্গিঁনা। ওই জলাবদ্ধতার বেড়াজালে পড়ে স্কুলের ২শ’৪০ জন শিক্ষার্থী কার্যত হয়ে পড়ে অবরুদ্ধ।

এ সময়টায় হাতের নাগালে পানি থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দিনানিপাত করতে হয় তাদের। এমন অবস্থা শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউপি’র শোরশাক সপ্রাবিতে। সপ্রাবি সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র এবং সরজমিনে দেখা যায়, ১৯৩০ সালে বিদ্যালয়টি নিচু ভূমিতে স্থাপিত হয়। কালের বিবর্তনে সময়ের ব্যবধানে চারপাশের রাস্তাসহ জনবসতি স্থানসমূহ মাটি ভরাটে উঁচু হয়ে এটি সেখানেই রয়ে যায়। তার দক্ষিন পাশে রয়েছে বিশালাকারের একটি পুকুর।

বর্ষা এলেই স্কুলটি ২ দিক পানিতে সহ মাঠটি পানি থইথই করে। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে একটি পাঁকা ভবন, ডান দিকে একটি পরিত্যাক্ত ভবন, অন্যদিকে একটি সরু ইটের সলিং এ জড়োসড়ো পথ (রাস্তাটি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র চলার অবলম্বন। এ সময়টায় বিদ্যালয় এসে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে হয়ে পড়ে কার্যত জলাবদ্ধতায় অবরুদ্ধ্ কারণ বর্ষা এলে বিদ্যালয় আঙ্গিঁনাসহ একমাত্র খেলার মাঠটি পানিতে হয় টইচুম্বুর।

৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান(১০) জানায়, ওই জলাবদ্ধতায় তাদের খেলার মাঠ, পয়ঃনিষ্কাশণ, বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং কাব স্কাউট এর মত কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সপ্রাবির প্রধান শিক্ষিকা খোদেজা বেগম বলেন, দীর্ঘ অনেক বছর জলবায়ুর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অতিবৃষ্টির কারনে আমাদের এ সপ্রাবির আঙ্গিঁনা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তিনি এখানে যোগদানের পর গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবহিত করেন বলে দাবি করেন।

স্থানীয় পুস্তক ব্যবসায়ী রিপন (৪০) জানান, বিষয়টি বারবার স্থানীয়রা সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিতে আনার পরও কার্যত কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। যার ফলে সম্প্রতি সময়ে বিদ্যালয়টি ছুটির পর মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের বই খাতা নিয়ে বিদ্যালয় ভবনটির সম্মুখে পানির কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে শিক্ষার্থীরা জানান বেশিরভাগ সময়ে ছোট বাচ্চা শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের চোখের আড়ালে ওই জমে থাকা পানিতে খেলা করতে যায়, তাতে যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার বিষয়টি অবগত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতার কথা আমি শুনেছি, সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছি।