• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শাহরাস্তিতে ভূমি দখলে প্রভাবশালীর পাঁয়তারা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
dav

শাহরাস্তি প্রতিনিধি:

শাহরাস্তিতে এক নিরীহ পরিবারের ক্রয়কৃত ভূমিতে প্রভাব খাটিয়ে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।পরিবারটি ওই জুলুম অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে একটি ফৌজদারী মামলাও দায়ের করেন।ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি বিশেষ আইন-আদালত তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণে চেষ্টা এখন অব্যাহত রেখেছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির দিন কাটছে আতঙ্কে ও উৎকণ্ঠায়। তার উপর তাদের ১০শতাংশ ভূমি থেকে ২শতাংশ খারিজ এমন অবস্থা বিরাজ করছে শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউপির কাদরা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সুত্র জানায়,ওই বাড়ির গৃহর্কতা সিরাজুল ইসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী তিনি তার সন্তানাধি নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন কাটাছেন। বর্তমানে তার পৈত্রিক ও কিছু ক্রয়কৃত দখলীয় ভূমি ৫৮৫ ,৫৮৭,৫৮৮ ও ৫৮৯ দাগের ভূমি ভোগ-দখল পূর্বক বসবাস করে আসছেন ।
গৃহকর্তার মেঝো ছেলে দীন ইসলাম জানান, একই গ্রামের নতুন বাড়ির আব্দুর রবের পুত্র আব্দুল কাদের তাদের ওই ভূমির উপর দিয়ে দীর্ঘ দিন হাঁটা চলা করে আসছিল। এতে ভূমির মালিক তাদের কোন বাধা প্রধান করেনি। গত কয় বছর ধরে কাদের গংরা হাটার পথের পরির্বতে হঠাৎ করে গাড়ির রাস্তা করার ফন্দি আঁটা শুরু করে। যা তারা কোন প্রকার সমঝোতা ছাড়াই রাতের আধারে ব্যক্তি বিশেষ নিয়ে বাস্তবায়নের পাঁয়তারা করে আসছে।

২০১৮ সালের ১৫এপ্রিল কাদের গংরা সকালে তাদের সাঙ্গোঁপাঙ্গঁ নিয়ে জোরপূর্বক জবরদখল করে একটি রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালায়।ওই সময় তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে তারা তর্কসহ জোর জুলুমে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তাদের প্রভাব প্রতিপত্তিতে টিকতে না পেরে আমার পিতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ মঙ্গলবার চাঁদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে মামলা দায়ের করে ।

যার মামলা নং-৩৭৯ /১৮ ফৌ:কা:বি:১৪৫ দারা। ওই মামলা দায়েরের পরদিন শুক্রবার জুমার নামাজের পরে কাদের গংরা আমার পিতাকে ও আমার পরিবারকে মুসল্লিদের সামনে নানান ভাবে হুমকি-ধমকি ও গালমন্দ করে। পরে আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা আবেদনের বিষয়টি শাহরাস্তি উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন ভূঁইয়াকে অবহিত করি। তিনি ২০১৮ সালের ৩০জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । ওই সময় তিনি দুই পক্ষকে ডেকে স্থিতিঅবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর প্রতিপক্ষরা ২০১৯ সালের ২৭ জুন তর্কিত ভূমি নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি করে।

তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ পাটোয়ারীকে বিষয়টি অবহিত করি। এরপর বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে মাঠে-ঘাটে মসজিদে আমার পিতা সিরাজুল ইসলাম ভাই হাবিবুর রহমান,কামাল হোসেন ও আমাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক ও ধর্মীয় মৌলবাদ, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের মামলা-মোকদ্দমায় জড়াবার পাঁয়তারাসহ হুমকি দিয়ে আসছে।এ বিষয়ে আমি শাহরাস্তি উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নন জি আর-৫৮/১৯ এবং ননএফআর-৮৩/১৯ মামলা দাখিল করি।এটি প্রকাশ হলে আমাদেরকে বিভিন্ন উপায়ে শায়েস্তা করার হুমকি দেয়।এতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। এবিষয়ে প্রতিপক্ষ কাদের গংদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায় নেই।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শাহরাস্তি এর আরও খবর
error: Content is protected !!