ইমরানের মধ্যস্থতায় নিরসনের পথে ইরান-সৌদি সংকট

  • আপডেট: ০৫:২৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৯

অনলাইন ডেস্ক:

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও সৌদি আরব। দেশ দুটির পক্ষ থেকেই বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর ইমরানের রিয়াদ সফরে তাকে মধ্যস্থতার অনুরোধ করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আলজাজিরাকে ইরানি স্পিকার আলী লারিজানি বলেন, ‘সৌদি আরব এবং অঞ্চলটির অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে ইরান পুরোপুরি উন্মুক্ত।’

এদিকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনার পারদ কমিয়ে আনতে চাইছে রিয়াদ। আর এমনটা হলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য এর সুফল ভোগ করতে পারবে।’

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দুই তেল স্থাপনায় হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে রিয়াদ। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। এরপরই ইরানের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে পাকিস্তান ও ইরাকের শরণাপন্ন হন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

সৌদি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার পর উত্তেজনা কমাতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছেন আবদুল মাহদি।

তবে তেল স্থাপনায় ওই হামলার দায় প্রতিবেশী ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা স্বীকার করলেও ইরানকে অভিযুক্ত করছে সৌদি আরব ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এতে সৌদি-ইরানের সংঘাতের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের চ্যানেল হিসেবে কাজ করছেন ইরাকি নেতারা। সরকারে আমাদের সুন্নি ভাইয়েরা সৌদি ও ইরানের শিয়াদের মধ্যে মধ্যস্থতায় কাজ করছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

ইমরানের মধ্যস্থতায় নিরসনের পথে ইরান-সৌদি সংকট

আপডেট: ০৫:২৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও সৌদি আরব। দেশ দুটির পক্ষ থেকেই বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর ইমরানের রিয়াদ সফরে তাকে মধ্যস্থতার অনুরোধ করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আলজাজিরাকে ইরানি স্পিকার আলী লারিজানি বলেন, ‘সৌদি আরব এবং অঞ্চলটির অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে ইরান পুরোপুরি উন্মুক্ত।’

এদিকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনার পারদ কমিয়ে আনতে চাইছে রিয়াদ। আর এমনটা হলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য এর সুফল ভোগ করতে পারবে।’

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দুই তেল স্থাপনায় হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে রিয়াদ। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। এরপরই ইরানের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে পাকিস্তান ও ইরাকের শরণাপন্ন হন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

সৌদি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার পর উত্তেজনা কমাতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছেন আবদুল মাহদি।

তবে তেল স্থাপনায় ওই হামলার দায় প্রতিবেশী ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা স্বীকার করলেও ইরানকে অভিযুক্ত করছে সৌদি আরব ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এতে সৌদি-ইরানের সংঘাতের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের চ্যানেল হিসেবে কাজ করছেন ইরাকি নেতারা। সরকারে আমাদের সুন্নি ভাইয়েরা সৌদি ও ইরানের শিয়াদের মধ্যে মধ্যস্থতায় কাজ করছে।