• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জিনে নিয়ে গেছে মাদ্রাসা ছাত্রীকে : মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নতুনেরকথা অনলাইন :

রাজধানীর পল্লবী থেকে নাজমুন আক্তার (১৩) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। গত ৩১ আগস্ট ওই ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে তার পরিবার মেয়ের খোঁজ চাইলে তারা জানায়, মেয়েটিকে জিনে নিয়ে গেছে।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে ছাত্রীটির বাবা শরীফ উল্লাহ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। মেয়েকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে শরীফ উল্লাহ বলেন, ‘চার বছর ধরে আমার মেয়ে পল্লবীর বাউনিয়াবাদ জামিয়া ফোরকানিয়া তালিমিয়া মহিলা মাদ্রাসায় পড়ছে। সে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৮ আগস্ট তাকে ছুটিতে বাসায় নিয়ে আসি। আর ২৭ আগস্ট ছুটি শেষে তাকে আবার মাদ্রাসায় দিয়ে আসি। ৩১ আগস্ট মাদ্রাসা থেকে ফোন করে আমাকে জানানো হয়, মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না।

এরপর আমি মাদ্রাসা গেটে গিয়ে নিরাপত্তা কর্মীর কাছে মেয়ের খবর জানতে চাই। সে জানায়, আমার মেয়েকে সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমি মাদ্রাসার হুজুর ও আপাকে ফোন দেই। তারা একেক সময় একেক কথা বলছেন।

প্রথমে বলেন, গেটে বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আর আসেনি। আবার জানায়, আমার মেয়ের সঙ্গে জিন আছে।  তাকে জিনে নিয়ে গেছে।  আবার বলে সে অসুস্থ। মাথা ঘুরে সিঁড়িতে পড়ে গেছে। এভাবে তারা একেকবার একেক তথ্য দিচ্ছেন। কোনও নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর আমি পল্লবী থানায় একটি জিডি করি।  তবে এখনও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এর মধ্যে কয়েকটি নম্বর থেকে আমার কাছে পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকা চাওয়া হয়েছে। আমি আমার মেয়েকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই।’

এ বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক মাসুদ আকবর বলেন, ‘মেয়েটি যখন নিখোঁজ হয় তখন আমাদের প্রিন্সিপাল হজে ছিলেন। তার কক্ষের সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হয়। রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে ক্লিনাররা সিসি ক্যামেরার সুইচ অফ করে রাখে। তাই সিসি ক্যামেরায় কিছু ধরা পড়েনি। তবে ঘটনার দিন (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একজন ম্যাডাম তাকে গেট থেকে বের হতে দেখছে। তখন সে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে যায় বলে বের হয়ে যায়। এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

জিনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেয়েটির সহপাঠীরা বলছে সে অসুস্থ ছিল।’

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধারে কাজ করছি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বাচ্চাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। আমরাও বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি। তবে এখনও তেমন কোনো আপডেট নেই।’

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • অন্যান্য এর আরও খবর
error: Content is protected !!