চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেম করে অঘটন ও স্বামী সন্তান রেখে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। এবার চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কেতুয়া গ্রামের মিজি বাড়ির মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী শাশুড়ি হাবেজা বেগমের পরকীয়া প্রেমের ঘটনা দেখে ফেলায় পুত্রবধূকে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে গলায় লাইলনের রশি পেঁচাইয়া প্রাণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে দুইপাশ হইতে টানা শুরু করে।
অবশেষে পুত্রবধূ মুন্নি আক্তারের দস্তা দস্তির আওয়াজ শুনে প্রতিবেশী সুমাইয়া আক্তার দৌড়ে এসে শাশুড়ি ও ননদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচায়। এ সময় শাশুড়ি হাফেজা বেগম ননদ আখি আক্তার সহ অন্যান্য আসামিরা সাক্ষী সুমাইয়া আক্তারের তলপেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
অবশেষে গৃহবধূ মুন্নি আক্তারের পরিবার খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এই ঘটনায় মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় শাশুড়ি ননদ সহ পাঁচজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফেরদৌস শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূল অপরাধী প্রবাসীর স্ত্রী শাশুড়ি হাবেজা বেগম ননদ আখি বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এই ঘটনায় বাদি মুন্নি আক্তার জানান, শ্বশুর শাহ আলম পাটোয়ারী বিদেশ থাকা অবস্থায় শাশুড়ি পরপুরুষের সাথে পরকীয়া প্রেম শুরু করে। প্রায় সময় অজ্ঞাত যুবকরা শাশুড়ির কাছে আসা-যাওয়া করতো।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে শাশুড়ি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন শুরু করে। অবশেষে শাশুড়ি ও ননদ পরিকল্পনা করে গলায় রশি লাগিয়ে টানা হেঁচড়া চালিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত শাশুড়ি ও ননদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, শাহ মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাবেজা বেগম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার নিপীড়ন করেছে। সে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পর পুরুষের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়েছে। এই ঘটনা তার প্রবাসী স্বামী ও ছেলে সবই জানে। তারপরেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুত্রবধূ এই ঘটনার প্রতিবাদ করলেই তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।