চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে ২৭ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও পরীক্ষার্থী উপস্থিতি খাতায় ৩০ জনের স্বাক্ষর দেখা যায়।
শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার।
শুক্রবার বিকালে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি চোখে পড়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিয়ার। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার কেন্দ্রে হাজির হন। তিনি দুই ঘণ্টা উপস্থিত থাকার পর বিকাল ৫টায় নিগার সুলতানা কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত শেষে রাত সোয়া ৭টায় বের হয়ে আসেন। এ সময় সংবাদকর্মীরা তাদের কাছে জানতে চাইলে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তারা চলে যান। দুজন পরীক্ষার্থী জানায়, ওই পরীক্ষায় ২৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কিন্তু উপস্থিতির জায়গায় ৩০ জনের স্বাক্ষর থাকার বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে আসে।
পরীক্ষা শেষে ফরহাদ নামে এক শিক্ষার্থীর কাছে সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে তার আইডি কার্ডের সঙ্গে ছবির মিল না পাওয়ায় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৭ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় ৩০ জনের স্বাক্ষর দেখে বিষয়টি সন্দেহ হয়। কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর মিলিয়ে গরমিল পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, সকালে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও উত্তরপত্র পাওয়া যায় ৩৫টি। জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন অফিস সহকারী নারায়ণ চন্দ্র দাস। ওই ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ঈমান হোসেন সাংবাদিকদের বক্তব্য না দিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে যান।