হাজীগঞ্জে আত্মগোপন ছেড়ে প্রকাশ্যে দুলাল পাটওয়ারী, আতঙ্কিত এন্নাতলী গ্রামের লোকজন

  • আপডেট: ১১:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ০ Views

গত ৫ আগস্ট থেকে নিজ বাড়ি, এলাকা কিংবা গ্রাম, কোথাও দেখা যায়নি মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারীকে। হঠাৎ করে আবার তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে এলেন। আর এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, এলাকার লোকজন। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আহবান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন স্থানীয়রা।

রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ‘সাইফ সাইফুল’ নামের ফেসবুক ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি ‘একটি সচেতনমূলক পোস্ট’ নামে মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারীর ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এরপর তার পোস্টটি ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন শেয়ার করেন এবং স্ট্যাটাসটি কপি করে করে নিজ নিজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে ও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেন, ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় ও এলাকাবাসীসহ এন্নাতলি গ্রামের লোকজন। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড (এন্নাতলি ও বড়কুল গ্রাম) আওয়ামী লীগের সভাপতি।

স্থানীয়রা জানান, এন্নাতলী গ্রামটি ডাকাতিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে অবস্থিত। গ্রামটিতে রয়েছে সবুজ, শ্যামল ও প্রাকৃতিক মন-মুগ্ধকর শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ। গ্রামের বেশিরভাগ লোকজন খেঁটে খাওয়া মানুষ। কিন্তু গ্রামের এই শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছেন দুলাল পাটওয়ারী ও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারী।

গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা একক আধিপত্য বিস্তার করে গ্রামের নিরিহ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশি ভয় দেখিয়ে অর্থ বানিজ্য, এমনকি হত্যা মামলার আসামি পর্যন্ত করা হয়েছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি খেঁটে খাওয়া মানুষ থেকে সামাজিক ব্যক্তিরাও।

অবশেষে গ্রামের লোকজনের কাছে গত বছরের ৫ আগস্ট আর্শিবাদ হয়ে আসে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মধ্য দিয়ে ওই দিন আত্মগোপনে চলে যান, মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারী ও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারী। এতেই স্বস্তি পান ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় ও এলাকার নিরিহ লোকজন।

কিন্তু সেই স্বস্তি যেন বেশি দিন টিকলো না। আত্মগোপন ছেড়ে সম্প্রতি মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারী আবারো নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভুক্তভোগীসহ গ্রামের লোকজন। যদিও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারী এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন। সে একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

তার ফিরে আসার খবরে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তাই-তো মানুষকে সতর্ক করে এবং পুলিশের হাতে তুলে দিতে দুলাল পাটওয়ারীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাইফুল নামের এক ব্যক্তি। ‘একটি সচেতন মূলক পোস্ট’ নামক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে হুবহু উল্লেখ করা হলো।

একটি সচেতন মূলক পোস্ট,,,,,,
ডাকাতিয়ার দক্ষিণপাড়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন ওরফে দুলাল পাটোয়ারী, প্রতিবন্ধী নুরু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, বড়কুলের হিন্দু দম্পতি মাডারের মূল হোতা,, জুলাই আগস্ট এর ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী বিগত আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীর অন্যতম ক্যাডার,,, দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পলাতক ছিল,,, গত কয়েকদিন ধরে আবার এলাকায় এসে বিভিন্ন রকমের অপকর্ম করার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে,,, তাই সবাই সতর্ক থাকুন,,, এবং এই সন্ত্রাসীকে এলাকা ছাড়া করার ব্যবস্থা করুন,, প্রয়োজনে পুলিশের হাতে তুলে দিন নয়তো আপনি বিপদে পড়তে পারেন,,,, এই নরপশু জুলাই আগস্টের আন্দোলনের সময়,, স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী পুলিশের সহযোগিতায় নুরু ফরাজীর দোকানে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করেছে,,, এখন তার ভাই হাজীগঞ্জ বাজারের ইয়াবা সহ নানা রকম মাদকের ডিলার,, ইমরান পাটোয়ারী সহ বিএনপিতে যোগদান করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে,, তাই সবাইকে সচেতন করছি এদেরকে প্রতিহত করুন,, নয়তো আপনি হবেন তাদের লালসার শিকার,,,,,,

প্রতিবন্ধী নুরু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, বড়কুলের হিন্দু দম্পতি মাডারের মূল হোতা,, জুলাই আগস্ট এর ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী বিগত আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীর অন্যতম ক্যাডার,,, দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পলাতক ছিল,,, গত কয়েকদিন ধরে আবার এলাকায় এসে বিভিন্ন রকমের অপকর্ম করার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে,,, তাই সবাই সতর্ক থাকুন,,, এবং এই সন্ত্রাসীকে এলাকা ছাড়া করার ব্যবস্থা করুন,, প্রয়োজনে পুলিশের হাতে তুলে দিন নয়তো আপনি বিপদে পড়তে পারেন,,,, এই নরপশু জুলাই আগস্টের আন্দোলনের সময়,, স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী পুলিশের সহযোগিতায় নুরু ফরাজীর দোকানে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করেছে,,, এখন তার ভাই হাজীগঞ্জ বাজারের ইয়াবা সহ নানা রকম মাদকের ডিলার,, ইমরান পাটোয়ারী সহ বিএনপিতে যোগদান করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে,, তাই সবাইকে সচেতন করছি এদেরকে প্রতিহত করুন,, নয়তো আপনি হবেন তাদের লালসার শিকার,,,,,,

এদিকে সাইফ সাইফুল নামের ওই ব্যক্তির উল্লেখিত পোস্টটি ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন শেয়ার করেন এবং স্ট্যাটাসটি কপি করে করে নিজ নিজ ফেসবুকে পোস্ট দেন। তিনি তার পোস্টটি উপজেলা, পৌর ও বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপি, জামায়াত যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ট্যাগ করেন।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারীর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইমাম হোসেন জানান, গত ১৭ বছর তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে তিনি অসংখ্য মানুষকে হয়রানি করেছেন। আমরা চাই, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেসব অভিযোগ তদন্ত করে যেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআই প্রধান

হাজীগঞ্জে আত্মগোপন ছেড়ে প্রকাশ্যে দুলাল পাটওয়ারী, আতঙ্কিত এন্নাতলী গ্রামের লোকজন

আপডেট: ১১:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

গত ৫ আগস্ট থেকে নিজ বাড়ি, এলাকা কিংবা গ্রাম, কোথাও দেখা যায়নি মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারীকে। হঠাৎ করে আবার তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে এলেন। আর এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, এলাকার লোকজন। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আহবান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন স্থানীয়রা।

রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ‘সাইফ সাইফুল’ নামের ফেসবুক ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি ‘একটি সচেতনমূলক পোস্ট’ নামে মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারীর ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এরপর তার পোস্টটি ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন শেয়ার করেন এবং স্ট্যাটাসটি কপি করে করে নিজ নিজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে ও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেন, ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় ও এলাকাবাসীসহ এন্নাতলি গ্রামের লোকজন। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড (এন্নাতলি ও বড়কুল গ্রাম) আওয়ামী লীগের সভাপতি।

স্থানীয়রা জানান, এন্নাতলী গ্রামটি ডাকাতিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে অবস্থিত। গ্রামটিতে রয়েছে সবুজ, শ্যামল ও প্রাকৃতিক মন-মুগ্ধকর শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ। গ্রামের বেশিরভাগ লোকজন খেঁটে খাওয়া মানুষ। কিন্তু গ্রামের এই শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছেন দুলাল পাটওয়ারী ও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারী।

গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা একক আধিপত্য বিস্তার করে গ্রামের নিরিহ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশি ভয় দেখিয়ে অর্থ বানিজ্য, এমনকি হত্যা মামলার আসামি পর্যন্ত করা হয়েছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি খেঁটে খাওয়া মানুষ থেকে সামাজিক ব্যক্তিরাও।

অবশেষে গ্রামের লোকজনের কাছে গত বছরের ৫ আগস্ট আর্শিবাদ হয়ে আসে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মধ্য দিয়ে ওই দিন আত্মগোপনে চলে যান, মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারী ও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারী। এতেই স্বস্তি পান ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় ও এলাকার নিরিহ লোকজন।

কিন্তু সেই স্বস্তি যেন বেশি দিন টিকলো না। আত্মগোপন ছেড়ে সম্প্রতি মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারী আবারো নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভুক্তভোগীসহ গ্রামের লোকজন। যদিও তার ছেলে গোলাম কিবরিয়া পাটওয়ারী এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন। সে একটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

তার ফিরে আসার খবরে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তাই-তো মানুষকে সতর্ক করে এবং পুলিশের হাতে তুলে দিতে দুলাল পাটওয়ারীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাইফুল নামের এক ব্যক্তি। ‘একটি সচেতন মূলক পোস্ট’ নামক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে হুবহু উল্লেখ করা হলো।

একটি সচেতন মূলক পোস্ট,,,,,,
ডাকাতিয়ার দক্ষিণপাড়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন ওরফে দুলাল পাটোয়ারী, প্রতিবন্ধী নুরু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, বড়কুলের হিন্দু দম্পতি মাডারের মূল হোতা,, জুলাই আগস্ট এর ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী বিগত আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীর অন্যতম ক্যাডার,,, দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পলাতক ছিল,,, গত কয়েকদিন ধরে আবার এলাকায় এসে বিভিন্ন রকমের অপকর্ম করার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে,,, তাই সবাই সতর্ক থাকুন,,, এবং এই সন্ত্রাসীকে এলাকা ছাড়া করার ব্যবস্থা করুন,, প্রয়োজনে পুলিশের হাতে তুলে দিন নয়তো আপনি বিপদে পড়তে পারেন,,,, এই নরপশু জুলাই আগস্টের আন্দোলনের সময়,, স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী পুলিশের সহযোগিতায় নুরু ফরাজীর দোকানে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করেছে,,, এখন তার ভাই হাজীগঞ্জ বাজারের ইয়াবা সহ নানা রকম মাদকের ডিলার,, ইমরান পাটোয়ারী সহ বিএনপিতে যোগদান করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে,, তাই সবাইকে সচেতন করছি এদেরকে প্রতিহত করুন,, নয়তো আপনি হবেন তাদের লালসার শিকার,,,,,,

প্রতিবন্ধী নুরু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, বড়কুলের হিন্দু দম্পতি মাডারের মূল হোতা,, জুলাই আগস্ট এর ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী বিগত আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীর অন্যতম ক্যাডার,,, দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পলাতক ছিল,,, গত কয়েকদিন ধরে আবার এলাকায় এসে বিভিন্ন রকমের অপকর্ম করার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে,,, তাই সবাই সতর্ক থাকুন,,, এবং এই সন্ত্রাসীকে এলাকা ছাড়া করার ব্যবস্থা করুন,, প্রয়োজনে পুলিশের হাতে তুলে দিন নয়তো আপনি বিপদে পড়তে পারেন,,,, এই নরপশু জুলাই আগস্টের আন্দোলনের সময়,, স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী পুলিশের সহযোগিতায় নুরু ফরাজীর দোকানে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করেছে,,, এখন তার ভাই হাজীগঞ্জ বাজারের ইয়াবা সহ নানা রকম মাদকের ডিলার,, ইমরান পাটোয়ারী সহ বিএনপিতে যোগদান করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে,, তাই সবাইকে সচেতন করছি এদেরকে প্রতিহত করুন,, নয়তো আপনি হবেন তাদের লালসার শিকার,,,,,,

এদিকে সাইফ সাইফুল নামের ওই ব্যক্তির উল্লেখিত পোস্টটি ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন শেয়ার করেন এবং স্ট্যাটাসটি কপি করে করে নিজ নিজ ফেসবুকে পোস্ট দেন। তিনি তার পোস্টটি উপজেলা, পৌর ও বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপি, জামায়াত যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ট্যাগ করেন।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন দুলাল পাটওয়ারীর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইমাম হোসেন জানান, গত ১৭ বছর তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে তিনি অসংখ্য মানুষকে হয়রানি করেছেন। আমরা চাই, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেসব অভিযোগ তদন্ত করে যেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।