অনলাইন ডেস্ক:
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বিরুদ্ধে দায়িত্বরত সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া ও ওই সাংবাদিককে তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যানটিনের সামনে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের প্রটোকল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সংঘর্ষের সময় দায়িত্ব পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে বলে দৈনিক ইনকিলাবের ভুক্তভোগী সাংবাদিক ইমন জানান।
জানা যায়, ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন মধুর ক্যানটিনে থেকে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে গাড়িতে ওঠে ছাত্রলীগের অন্য দুই সিনিয়র নেতা জহির এবং আল নাহিয়ান খান জয়সহ আরও কয়েকজন। এদিকে গাড়িতে না উঠতে পেরে ঝামেলা করা শুরু করে বিদ্যুৎ। ফলে একপর্যায়ে শোভন অন্যদেরও গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এটাকে কেন্দ্র করে জহির এবং বিদ্যুতের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে দুজন দুজনকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে তেড়ে যান।
এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত ইনকিলাবের রিপোর্টারের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় আরেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এ সময় এ রিপোর্টারকে জোর করে শোভনের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ইমন সাংবাদিকদের জানান, মধুর ক্যানটিনের বাইরে পাবলিক প্লেসে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে আমার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় আমাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। তারা জোর করে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দেয়। পরে অনুরোধ করলে হাতিরপুল বাজারের কাছে আমাকে গাড়ি থেকে নামতে দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, ঘটনাস্থালে তাকে কেউ চিনে না। তাকে কেউ যদি মারধর করে সে জন্য তাকে আমার গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তাকে জোর করা হয়নি। তার মোবাইল থেকে ভিডিও ডিলিট করার বিষয়টি জানি না।
অভিযুক্ত সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমি তাকে গাড়িতে উঠাই নাই। তবে তাকে যে গাড়িতে উঠানো হয়েছে তা শোভন ভাই জানেন। মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ডিলিট করিনি।