শাহরাস্তির প্রধান সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদারের গাফিলতি, পথচারিদের দূর্ভোগ চরমে

  • আপডেট: ১২:১০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯
  • ৭৮

মোঃ জামাল হোসেনঃ

চাদঁপুরের শাহরাস্তির প্রধান সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদারের গাফিলতিতে জন সাধারণের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। শাহরাস্তি উপজেলার কয়েক লক্ষ জনগণের প্রধান দূর্ভোগের কারণ হিসেবে এতোদিন ছিলো উপজেলার প্রধান সড়কটি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রায় ১৪০ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে একনেকে পাস করা হয় উক্ত সড়ক পুনঃ নির্মাণ কাজ প্রকল্প।

গত কয়েক মাস যাবৎ চলছে এ নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ লোকজন কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারপরও সাধারণ জনগণের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে সড়কের উন্নয়ন কাজটি হওয়ায়। মেহের কালীবাড়ি থেকে মোল্লার দরজা, মেহের কালীবাড়ী থেকে লোটরা বাজার পর্যন্ত সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

মেহের রেল গেট থেকে দোয়াভাঙ্গা পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। মেহার কালীবাড়ি থেকে মেহের রেল গেট পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এখনো শুরু করেনি। কিন্তু গত মাসে শাহরাস্তি উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা ঠাকুরবাজারে উন্নয়ন কাজ শুরু করে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটিতে মাটি খুঁড়ে চলে যায়। কিন্তু এখান দিয়ে কিন্তু এখান দিয়ে কাজ না করে অন্যস্থলে কাজ করে। ফলে বর্তমানে ঠাকুরবাজারের উত্তর বাজার যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে সড়কটিতে হাঁটু পানি জমে বেহাল দশায় পরিণত হয়। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা এবং যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উক্ত সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের। বৃষ্টিতে কাদা পানি আর শুষ্ক মৌসুমে বালুতে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়ে।

সড়কটিতে কাজ না করে রাস্তা খোঁড়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয় কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ মোল্লা যানবাহন বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান। পরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন উক্ত সড়কে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসে যান চলাচল শুরু করা হয়। কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ মোল্লা জানান, তিনি প্রতিবাদ করার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুই গাড়ি ইট ফেলে দেয়। এরপর আর আসেনি। দায়সারাভাবে দু গাড়ি ইট ফেলেই যেনো তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে, বর্তমানে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশায় এ ব্যাপারে কথা বলার জন্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে হ ত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী সাইফলকে

শাহরাস্তির প্রধান সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদারের গাফিলতি, পথচারিদের দূর্ভোগ চরমে

আপডেট: ১২:১০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

মোঃ জামাল হোসেনঃ

চাদঁপুরের শাহরাস্তির প্রধান সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদারের গাফিলতিতে জন সাধারণের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। শাহরাস্তি উপজেলার কয়েক লক্ষ জনগণের প্রধান দূর্ভোগের কারণ হিসেবে এতোদিন ছিলো উপজেলার প্রধান সড়কটি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রায় ১৪০ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে একনেকে পাস করা হয় উক্ত সড়ক পুনঃ নির্মাণ কাজ প্রকল্প।

গত কয়েক মাস যাবৎ চলছে এ নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ লোকজন কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারপরও সাধারণ জনগণের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে সড়কের উন্নয়ন কাজটি হওয়ায়। মেহের কালীবাড়ি থেকে মোল্লার দরজা, মেহের কালীবাড়ী থেকে লোটরা বাজার পর্যন্ত সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

মেহের রেল গেট থেকে দোয়াভাঙ্গা পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। মেহার কালীবাড়ি থেকে মেহের রেল গেট পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এখনো শুরু করেনি। কিন্তু গত মাসে শাহরাস্তি উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা ঠাকুরবাজারে উন্নয়ন কাজ শুরু করে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটিতে মাটি খুঁড়ে চলে যায়। কিন্তু এখান দিয়ে কিন্তু এখান দিয়ে কাজ না করে অন্যস্থলে কাজ করে। ফলে বর্তমানে ঠাকুরবাজারের উত্তর বাজার যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে সড়কটিতে হাঁটু পানি জমে বেহাল দশায় পরিণত হয়। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা এবং যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উক্ত সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের। বৃষ্টিতে কাদা পানি আর শুষ্ক মৌসুমে বালুতে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়ে।

সড়কটিতে কাজ না করে রাস্তা খোঁড়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয় কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ মোল্লা যানবাহন বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান। পরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন উক্ত সড়কে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসে যান চলাচল শুরু করা হয়। কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ মোল্লা জানান, তিনি প্রতিবাদ করার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুই গাড়ি ইট ফেলে দেয়। এরপর আর আসেনি। দায়সারাভাবে দু গাড়ি ইট ফেলেই যেনো তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে, বর্তমানে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশায় এ ব্যাপারে কথা বলার জন্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি