কাল থেকে টিভিতে প্রাথমিকের পাঠদান

  • আপডেট: ০১:৩৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০
  • ২৬

অনলাইন ডেস্ক:

মাধ্যমিকের পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় দুই ঘণ্টার জন্য লেকচার সম্প্রচার করা হবে। প্রাক-প্রাথমিক বা শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক পাঠদান করা হবে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ঘরবন্দি হয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, আমরা এই লেখাপড়া কর্মসূচির নাম দিয়েছি ‘ঘরে বসে শিখি’। দুই ঘন্টায় ৬টি শ্রেণির মোট ছয়টি পাঠদান করা হবে। প্রতিটির সময়সীমা ২০ মিনিট। প্রাক-প্রাথমিক বা শিশু শ্রেণির পাঠদানে থাকবে আঁকিবুকি ইত্যাদি। অন্য শ্রেণির জন্যও নির্দিষ্ট পরিমাণ পাঠ থাকবে। এই পাঠদান পরিকল্পনা করা হয়েছে কারিকুলাম এবং বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুসারে। ছুটি শুরুর আগে স্কুলগুলোতে মূল পাঠ্যবই যতটুকু পড়ানো হয়েছে এরপর থেকে পাঠদান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, টিভিতে এই পাঠদান কার্যক্রম স্থায়ী করার চিন্তা করছেন তারা। এ লক্ষ্যে এটুআই প্রকল্পের সঙ্গে তারা কাজ করছেন। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিকভাবে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞানের ওপর পাঠদান করা হবে। শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্তও ইংরেজি ও গণিতের পাঠদান করা হচ্ছে। দৈনিক প্রতিটি শ্রেণির একটি করে পাঠদান থাকবে।

তিনি আরও জানান, প্রতিটি লেকচার পরবর্তীকালে অনলাইনে দেয়া হবে। এ ছাড়া ইউটিউবে থাকবে। এ জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শীর্ষক একটি অনলাইন ভোটার করা হয়েছে। সেখানে সম্প্রচার করা পাঠগুলো থাকবে।

এ দিকে বিশেষ সময়ে শিশুদের এই পাঠদানের লেকচার রেকর্ডিং বিএনপি-জামায়াতপন্থী এক শিক্ষাব্যবসায়ীর স্টুডিওতে করা হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক ওই স্টুডিওতে গিয়ে নিজের লেকচার রেকর্ডিংয়ে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে রেকর্ডিং এর জন্য নির্ধারিত অন্য দুটি স্টুডিওতে শিক্ষকের লেকচার রেকর্ডিং করা হয়। স্টুডিও দুটি হচ্ছে- রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজ এবং বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো। সমালোচনা এবং শিক্ষকদের আপত্তি সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে ডিপিই ওই স্টুডিও পরিত্যাগ করেনি বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ডিপিই মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ জানিয়েছেন, বন্ধের এই সময়ে স্টুডিওর সংকট আছে। এ কারণে আমরা যা পেয়েছি নিয়েছি।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাখাতে প্রভাব বিস্তার করতে আগ্রহী ওই প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক স্তরের পাঠদানেও তাদের স্টুডিও দিতে মরিয়া ছিল। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশির) তা প্রত্যাখ্যান করে।

উল্লেখ্য, সাধারণ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় নিয়োজিত রাখতে টিভিতে পাঠদান কার্যক্রম প্রথমে শুরু করে মাউশি। একই টিভিতে ২৯ মার্চ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পাঠদানের লেকচার সম্প্রচার শুরু করেছে সংস্থাটি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

কাল থেকে টিভিতে প্রাথমিকের পাঠদান

আপডেট: ০১:৩৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

মাধ্যমিকের পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় দুই ঘণ্টার জন্য লেকচার সম্প্রচার করা হবে। প্রাক-প্রাথমিক বা শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক পাঠদান করা হবে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ঘরবন্দি হয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, আমরা এই লেখাপড়া কর্মসূচির নাম দিয়েছি ‘ঘরে বসে শিখি’। দুই ঘন্টায় ৬টি শ্রেণির মোট ছয়টি পাঠদান করা হবে। প্রতিটির সময়সীমা ২০ মিনিট। প্রাক-প্রাথমিক বা শিশু শ্রেণির পাঠদানে থাকবে আঁকিবুকি ইত্যাদি। অন্য শ্রেণির জন্যও নির্দিষ্ট পরিমাণ পাঠ থাকবে। এই পাঠদান পরিকল্পনা করা হয়েছে কারিকুলাম এবং বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুসারে। ছুটি শুরুর আগে স্কুলগুলোতে মূল পাঠ্যবই যতটুকু পড়ানো হয়েছে এরপর থেকে পাঠদান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, টিভিতে এই পাঠদান কার্যক্রম স্থায়ী করার চিন্তা করছেন তারা। এ লক্ষ্যে এটুআই প্রকল্পের সঙ্গে তারা কাজ করছেন। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিকভাবে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞানের ওপর পাঠদান করা হবে। শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্তও ইংরেজি ও গণিতের পাঠদান করা হচ্ছে। দৈনিক প্রতিটি শ্রেণির একটি করে পাঠদান থাকবে।

তিনি আরও জানান, প্রতিটি লেকচার পরবর্তীকালে অনলাইনে দেয়া হবে। এ ছাড়া ইউটিউবে থাকবে। এ জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শীর্ষক একটি অনলাইন ভোটার করা হয়েছে। সেখানে সম্প্রচার করা পাঠগুলো থাকবে।

এ দিকে বিশেষ সময়ে শিশুদের এই পাঠদানের লেকচার রেকর্ডিং বিএনপি-জামায়াতপন্থী এক শিক্ষাব্যবসায়ীর স্টুডিওতে করা হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক ওই স্টুডিওতে গিয়ে নিজের লেকচার রেকর্ডিংয়ে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে রেকর্ডিং এর জন্য নির্ধারিত অন্য দুটি স্টুডিওতে শিক্ষকের লেকচার রেকর্ডিং করা হয়। স্টুডিও দুটি হচ্ছে- রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজ এবং বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো। সমালোচনা এবং শিক্ষকদের আপত্তি সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে ডিপিই ওই স্টুডিও পরিত্যাগ করেনি বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ডিপিই মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ জানিয়েছেন, বন্ধের এই সময়ে স্টুডিওর সংকট আছে। এ কারণে আমরা যা পেয়েছি নিয়েছি।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাখাতে প্রভাব বিস্তার করতে আগ্রহী ওই প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক স্তরের পাঠদানেও তাদের স্টুডিও দিতে মরিয়া ছিল। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশির) তা প্রত্যাখ্যান করে।

উল্লেখ্য, সাধারণ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় নিয়োজিত রাখতে টিভিতে পাঠদান কার্যক্রম প্রথমে শুরু করে মাউশি। একই টিভিতে ২৯ মার্চ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পাঠদানের লেকচার সম্প্রচার শুরু করেছে সংস্থাটি।