নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
এক বন্ধু বিদেশ ফেরত, আরেক বন্ধুর ছিল চাকরি । আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় গত তিন বছর ধরে আলাদা আলাদা ভাবে নিজেদের জমানো টাকায় গড়ে তোলেন মুরগি ও গরুর ফার্ম। যদিও ব্যবসায়ীক ছিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়ে উভয়ে কাজ শুরু করেন কিন্তু পরামর্শ ও উদ্দেশ্যে ছিল এক। নতুন উদ্যাক্তা হিসাবে তেমন একটা পরিচিতি না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত দুই বন্ধু ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টায় দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নতুন এই দুই উদ্যাক্তা হচ্ছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের তেলিসাইর গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও যুবলীগ নেতা আ. মমিন মিজি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজ উদ্যাগে গত তিন বছর পূর্বে বিদেশ ফেরত তেলিসাইর মিজি বাড়ীর দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আ. মমিন বয়লার মুরগি ও গরুর ফার্ম গড়ে তোলেন। প্রথমে এক হাজার মুরগির বাচ্চা ও ৩টি ছোট বড় গরু নিয়ে খামারের কার্যক্রম শুর করেন। ঘরের পাশে খামার গড়ে তোলায় সকাল বিকাল ও রাত পর্যন্ত নিজে একাই দেখাশুনা পরিচর্জার কাজ করেন। বানিজ্যিক ভাবে পরিচিতির সাথে খামারের পরিধি বাড়ান। বর্তমান বাজারে বয়লার মুরগীর তেমন দাম না পাওয়ায় কিছুটা খামারের আকার ছোট করতে দেখা যায়।
বর্তমানে পোল্ট্রি হ্যাচারিতে দেড় হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে যা আগামি এক মাসে দুই থেকে তিন কেজি ওজনের হলে বাজারের বিক্রি করার উপযোগি হবে। যার কেজি প্রতি একশ থেকে একশ বিশ টাকা ধরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হবে। তাছাড়া তার অন্য ফার্মে বিভিন্ন জাতের একাধিক গরু পালন করে যাচ্ছে যা আগামি কোরবানি উপলক্ষে বিক্রি করা হবে।
এদিকে একই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বন্ধুর ফার্মের কার্যক্রম দেখে পরামর্শক্রমে নিজ বাড়ীর আঙ্গীনায় বড় করে গড়ে তোলেন লেয়ার জাতের মুরগী ও গরুর খামার। বর্তমানে তার খামারে প্রায় দুই হাজার মুরগি প্রতিদিন ডিম দিচ্ছে সেই সাথে আসন্ন কোরবানীতে বিক্রি উপযোগি হিসাবে ১৫/২০ টি বিভিন্ন জাতের গরু পালনে ব্যস্তসময় পার করছে।
এ বিষয়ে নতুন এ দুই উদ্যোক্তা আ. মমিন মিজি ও ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, আমরা মুরগির ব্যবসায় আরো লাভজন অবস্থানে যেতে পারতাম যদি গ্রামের কাচা সড়কটি পাকা হতো। বর্তমান বাজার দর ভাল না থাকায় ও পোল্টি খাবারের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় তেমন একটা লাভবানে নেই। সরকারি ভাবে যদি কোন সুযোগ সুবিদা পেতাম তাহলে ব্যবসায় আরো ভাল কিছু করার সুযোগ পেতাম। তাই উপজেলা পশু ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।