কচুয়া থানার ওসি ওয়ালী উল্লাহ’র সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট: ০৪:০১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০
  • ১৯

কচুয়া প্রতিনিধি॥
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়ালী উল্লাহ (অলি) উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের সংবাদ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে কচুয়া প্রেসক্লাবের আওতায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ওসি ওয়ালী উল্লাহ (অলি) বলেন, গত ইং ১২/০১/২০২০ তারিখে কচুয়া থানার মামলা নং- ০৩ তাং- ০৭/০১/২০২০ইং ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ (২) পেনাল কোড জিআর ০৩/২০২০ এর এজাহার নামীয় ০২ নং আসামী মোঃ মাহবুব আলম (৩৫) পিতা- মৃত ইদ্রিস মেম্বার, সাং- কোয়া, থানা- কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর, বর্তমানে- ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, কচুয়া, চাঁদপুর কর্তৃক সাংবাদিক সম্মেলন করিয়া তাহার বিরুদ্ধে কেন মামলা নিয়াছি মর্মে উল্লেখ করিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রোশ মুলক কথাবার্তা সহ ওসিকে প্রত্যারের দাবী জানান। যাহা কচুয়া সহ চাঁদপুরের কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

আমি আপনাদের মাধ্যমে জনগনকে জানাতে চাই যে, গত ইং ০৭/০১/২০২০ তারিখ জনৈক মোঃ শরীফ হোসাইন (২৭) পিতা- মৃত মোখলেছুর রহমান, সাং- নোয়াদ্দা (বড় বাড়ী) থানা- কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর কর্তৃক একটি ধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে আমার বরাবরে তাহার স্বাক্ষরিত এজাহার দায়ের করিলে ঘটনার বিষয়টি ধর্তব্য অপরাধ হওয়ায় ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৫৪ ধারায় আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় বর্নিত মামলাটি রুজু করি।

বাদী তাহার দায়েরকৃত এজাহারে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুহবুব আলমকে ০২ নং আসামী করে এজাহার নামীয় ০৫ জন সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামী করে। কোন ধর্তব্য অপরাধের সংবাদ প্রাপ্তির পর তাহা এফআইআর হিসাবে গন্য করার জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৫৪ ধারায় বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উক্ত এফআইআর’ এ কোন ব্যক্তি ঘটনার সাথে জড়িত এবং কোন ব্যক্তি জড়িত নয় তাহা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ইহাতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কাকে এজাহার নামীয় করা যাবে কাকে করা যাবে না তাহা বাদীকে আদেশ দেওয়ার বা পরামর্শ দেয়ার কোন সুযোগ নাই।

অর্থাৎ বাদী উক্ত ধর্তব্য অপরাধের সাথে যাহাকে জড়িত মর্মে স্বাক্ষরিত এজাহার দায়ের করিবেন তাহাকে এফ আই আর হিসাবে গন্য করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরবর্তী পুলিশ প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা উঠে আসে এটাই আইনের ভাষ্য। কিন্তু বর্নিত মামলার এজাহার নামীয় ০২ নং আসামী মাহবুব আলম আইনের বাধ্যবাধকতাকে কোন তোয়াক্কা না করিয়া ধর্তব্য অপরাধে তাহার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করিয়া কেন মামলা নিয়াছে মর্মে উল্লেখ করিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রোশ মুলক কথাবার্তার ফলে প্রায় ২০০ বৎসরের প্রাচীন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গাথা পুলিশ বাহীনির সুনাম ক্ষুন্ন সহ থানা পুলিশের সফল কার্যক্রম জনসাধারনের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ করায় আমি তাহার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাছাড়া আমি অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে আইন প্রয়োগ করায় ওসির প্রত্যাহার করার দাবী অযৌতিক ও নিন্দনীয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচরে দিয়া অত্র সাংবাদিক সম্মেলন করা হইল।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

কচুয়া থানার ওসি ওয়ালী উল্লাহ’র সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ০৪:০১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০

কচুয়া প্রতিনিধি॥
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়ালী উল্লাহ (অলি) উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের সংবাদ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে কচুয়া প্রেসক্লাবের আওতায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ওসি ওয়ালী উল্লাহ (অলি) বলেন, গত ইং ১২/০১/২০২০ তারিখে কচুয়া থানার মামলা নং- ০৩ তাং- ০৭/০১/২০২০ইং ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ (২) পেনাল কোড জিআর ০৩/২০২০ এর এজাহার নামীয় ০২ নং আসামী মোঃ মাহবুব আলম (৩৫) পিতা- মৃত ইদ্রিস মেম্বার, সাং- কোয়া, থানা- কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর, বর্তমানে- ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, কচুয়া, চাঁদপুর কর্তৃক সাংবাদিক সম্মেলন করিয়া তাহার বিরুদ্ধে কেন মামলা নিয়াছি মর্মে উল্লেখ করিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রোশ মুলক কথাবার্তা সহ ওসিকে প্রত্যারের দাবী জানান। যাহা কচুয়া সহ চাঁদপুরের কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

আমি আপনাদের মাধ্যমে জনগনকে জানাতে চাই যে, গত ইং ০৭/০১/২০২০ তারিখ জনৈক মোঃ শরীফ হোসাইন (২৭) পিতা- মৃত মোখলেছুর রহমান, সাং- নোয়াদ্দা (বড় বাড়ী) থানা- কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর কর্তৃক একটি ধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে আমার বরাবরে তাহার স্বাক্ষরিত এজাহার দায়ের করিলে ঘটনার বিষয়টি ধর্তব্য অপরাধ হওয়ায় ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৫৪ ধারায় আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় বর্নিত মামলাটি রুজু করি।

বাদী তাহার দায়েরকৃত এজাহারে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুহবুব আলমকে ০২ নং আসামী করে এজাহার নামীয় ০৫ জন সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামী করে। কোন ধর্তব্য অপরাধের সংবাদ প্রাপ্তির পর তাহা এফআইআর হিসাবে গন্য করার জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৫৪ ধারায় বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উক্ত এফআইআর’ এ কোন ব্যক্তি ঘটনার সাথে জড়িত এবং কোন ব্যক্তি জড়িত নয় তাহা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ইহাতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কাকে এজাহার নামীয় করা যাবে কাকে করা যাবে না তাহা বাদীকে আদেশ দেওয়ার বা পরামর্শ দেয়ার কোন সুযোগ নাই।

অর্থাৎ বাদী উক্ত ধর্তব্য অপরাধের সাথে যাহাকে জড়িত মর্মে স্বাক্ষরিত এজাহার দায়ের করিবেন তাহাকে এফ আই আর হিসাবে গন্য করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরবর্তী পুলিশ প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা উঠে আসে এটাই আইনের ভাষ্য। কিন্তু বর্নিত মামলার এজাহার নামীয় ০২ নং আসামী মাহবুব আলম আইনের বাধ্যবাধকতাকে কোন তোয়াক্কা না করিয়া ধর্তব্য অপরাধে তাহার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করিয়া কেন মামলা নিয়াছে মর্মে উল্লেখ করিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রোশ মুলক কথাবার্তার ফলে প্রায় ২০০ বৎসরের প্রাচীন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গাথা পুলিশ বাহীনির সুনাম ক্ষুন্ন সহ থানা পুলিশের সফল কার্যক্রম জনসাধারনের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ করায় আমি তাহার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাছাড়া আমি অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে আইন প্রয়োগ করায় ওসির প্রত্যাহার করার দাবী অযৌতিক ও নিন্দনীয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচরে দিয়া অত্র সাংবাদিক সম্মেলন করা হইল।