কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের দারাশাহী-তুলপাই বাজারে চৌধুরী মার্কেটের ২য় তলায় উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিন্ডার গার্ডেন পরিদর্শন করেন, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ।
এ সময় তিনি ওই কিন্ডার গার্ডেনে এসে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাফর সরকারকে বিদ্যালয় পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা ও শিক্ষার্থীরা কিভাবে নতুন সরকারি বই পেল তা জানতে চাইলে তিনি এর সঠিক জবাব দিতে পারেননি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর সরকারকে তাঁর নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ওইদিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিদ্যালয়ের অপর পরিচালক সদস্য মো. আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী সরকারী ওই বইগুলোর মধ্যে কিছু বই কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে নিয়েছেন এবং কিছু বই বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে দাবী করলে সভাপতি জাফর সরকারকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জাফর সরকার ও অনান্যদের বিদ্যালয়ের পরবর্তী অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ জানান, বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ ভালো। কিন্তু দারাশাই-তুলপাই বাজারে প্রশাসনের অনুমতিবিহীন ‘কবি কাজী নজরুল একাডেমী’ নামে কিন্ডারগার্ডেন পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সরকারি বই বিতরনের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছি। পরিদর্শনকালে অনুমতি না থাকায় একাডেমির সভাপতির মাধ্যমে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে ওই বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ তালা ঝুঁলিয়ে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জাফর মিয়া ও সদস্য আলমগীর পাটওয়ারী পরবর্তীতে অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সরকারী বই কি ভাবে পেলো তার রহস্য উদ্ধার নিয়ে এখনো স্থানীয়দের মাঝে নানান গুঞ্জন চলছে।
উল্লেখ্যযে, কচুয়ার পশ্চিম জনপদের দারাশাহী-তুলপাই বাজারে এলাকার বেশকিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি শিশু শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা শুরু করেন।
এ নিয়ে স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি জানতে পরে এবং লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরে জমিনে পরিদর্শন কওে অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।