আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এখন সংঘর্ষ-বিক্ষোভে উত্তাল। সব যায়গায় আগুন-ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। এরই মাঝে একটি বাসে পুলিশের আগুন দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে বাসে আগুন দেওয়ার ছবি ও ভিডিওসহ একটি টুইটও করে পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন খোদ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। এরপরই দ্রুত ওই ভিডিও ভাইরাল হয়।
টুইটে মণীশ সিসৌদিয়া বলেন, “দেখুন এই ছবিগুলো। কারা বাস, গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে। এই ছবিই প্রমাণ করে যে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতারা কি এর উত্তর দেবেন?”
তিনি আরও বলেন, “দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা অমিত শাহকে রিপোর্ট করে। দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী আসনে। এবং তারা আম আদমি সরকারের চরম বিরোধী।”
তবে সিসৌদিয়ার এই অভিযোগের জোরালো বিরোধিতা করার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ সেই অভিযোগকে প্রত্যাখানও করেছে। দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এস রণধাওয়া বলেন, “আপনারা নিশ্চই ভিডিওটি দেখেছেন। আগুন বাসের বাইরে জ্বলছিল। পুলিশ সেই আগুন নেভানের চেষ্টা করছিল।”
দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার চিন্ময় বিসওয়াল, যার নেতৃত্বে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে অভিযানে নামে, তিনি এই অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সত্যিটাকে বিকৃত করার চেষ্টা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিল্লির নিজ়উজ় ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকা। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সেই সময়ই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কিছু পুলিশ ভাঙচুর হওয়ার বাসের মধ্যে জারিকেন থেকে কিছু ঢালছেন। তার পর থেকেই এই তত্ত্ব ঘোরাফেরা করতে শুরু করে যে, এই ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর কাজে পুলিশও জড়িত। পুলিশের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা