নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভণে মুসলিম মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা মো. মজিবুর রহমান বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। রোববার রাতে অভিযুক্ত হিন্দু যুবককে আটক করেছে পুলিশ। প্রতারক প্রেমিকের পলাশ চন্দ্র দেবনাথ কচুয়া উপজেলার চাঙ্গিনী গ্রামের শুকুমার রঞ্জন দেবনাথের ছেলে।
প্রতারণার শিকার ওই যুবতী উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে (১৯)। ওই যুবতীর পূর্বেও একটি বিয়ে হয়েছিল। ওই ঘর থেকে ডিভোর্স হওয়ার পর সে বাপের বাড়ীতেই ছিল। মাস ছয়েক আগে মোবাইল ফোনে রং নাম্বারের সূত্র ধরে কথিত প্রেমিক ও পলাশ ও যুবতীর পরিচয় ঘটে। ঈদে তারা একে অপরের সাথে দেখা করে স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করে। পরে যুবতী যখন জানতে পারে যুবক হিন্দু তখনই কৌশলে তার পরিবারকে খবর দিয়ে পলাশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলা করে।
সোমবার (১০ জুন) সকালে হাজীগঞ্জ থানা থেকে ওই প্রেমিককে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলায় চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুসলিম সেজে প্রেমের অভিনয় করে হিন্দু যুবক কর্তৃক মুসলিম মেয়েকে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলায় আটক দেখিয়ে পলাশ চন্দ্রকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।