আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীন বলেছে, আমেরিকার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতির কারণেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বেইজিং আরো বলেছে, মার্কিন সরকার একতরফাভাবে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে মস্কো সফরে গিয়ে এসব কথা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক পরিচালক ফু কং।ইরানের পক্ষ থেকে পরমাণু সমঝোতায় দেয়া চতুর্থ দফা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফু কং বলেন, ইরান প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ প্রচেষ্টায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করবে না বরং তেহরান এখনো পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি’তে অটল রয়েছে। চীনা এই কূটনীতিক আরো বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন করলে ইরান এ সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতি আবার বাস্তবায়ন করতে শুরু করবে বলে ঘোষণা করেছে।
২০১৮ সালের মে মাসে আমেরিকা গায়ের জোরে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিন ইউরোপীয় দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ইরানের স্বার্থ রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তেহরানকে এ সমঝোতায় অটল থাকার আহ্বান জানায়।কিন্তু এসব দেশ গত দেড় বছরেও ইরানের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এর প্রতিবাদে ইরানও ২০১৯ সালের মে মাস থেকে পরমাণু সমঝোতায় নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখতে শুরু করেছে। তেহরান এখন পর্যন্ত চার দফায় তার প্রতিশ্রুতি স্থগিত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে। সর্বশেষ ফোরদু পরমাণু স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করেছে ইরান এবং এদেশের আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, এই স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা পরমাণু সমঝোতা পূর্ব অবস্থায় ফিরে গেছে।
সূত্র : পার্সটুডে।