কচুয়া প্রতিনিধি:
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেও শুধু মাত্র টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না মেধাবী শিক্ষার্থী সুজন হোসেন। সুজন হোসেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুল মান্নানের ছেলে।
জানাগেছে, মেধাবী ছাত্র সুজন হোসেন ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ- ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ১৭১৮ তম। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির খরচ যোগাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকার ব্যবস্থা করতে পারছেন না তার মা রানু বেগম ও বাবা আব্দুল মান্নান।
ছোট বেলা থেকে সুজন হোসেন শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার পরিচয় দিয়ে এসেছে। সুজন হোসেন পঞ্চম সমাপনী পরীক্ষায় এ গ্রেড ও অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া দাখিল পরীক্ষায় খিলমেহের আহমাদিয়া মাদ্রাসা থেকে মানবিক বিভাগে এ গ্রেড এবং এইচএসসি পরীক্ষায় পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়।
কিন্তু দিনমজুর বাবার স্বল্প আয় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা সুজনের যেন জীবনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুজনের হতভাগা দরিদ্র বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, এতদিন অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে ছেলের পড়াশুনার খরচ চালিয়ে এসেছি। কিন্তু তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সময়ে অর্থের অভাবে ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে এ কথা ভাবতেই পারছি না।
সুজনের চাচা শহীদ উল্যা ও দাদা মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাছ বলেন, ছোট বেলা থেকে সুজন ছেলেটি খুবই মেধাবী। বর্তমানে সে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে আমরা শুনে অনেক খুশি হয়েছে। সুজন ঢাবিতে ভর্তি হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল করতে পারে।
সুজন হোসেন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়তে আগ্রহী। কিন্তু টাকার অভাবে তার স্বপ্ন আজ নিঃশেষ হতে বসেছে। সমাজে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি। কেউ একটু সাহায্য করলে সে তার বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার আশাবাদ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু তার দিনমজুর বাবা আব্দুল মান্নানের পক্ষে ভর্তির টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই প্রশাসনসহ সমাজে যারা বিত্তবান রয়েছেন দিনমজুর ছেলের সুজনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাহায্য করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্থনীয়রা। বিকাশ: ০১৮৪৫৩৫৪২৫৭, যোগাযোগ: সুজন ০১৮৫২০০৪১৭৬।