মতলব উত্তরে বালুর হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্বে মারধর ॥ থানায় অভিযোগ

  • আপডেট: ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • ৪৫

মতলব উত্তর ব্যুরো: মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের পূর্ব লালপুর গ্রামে বালুর হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্বে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন সোলেমান হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।

ঘটনাটি ঘটে ৭ জুন রাত ৮.৪০মিনিটে পূর্ব লালপুর গ্রামের মধ্যে মো. শ্যামলের দোকানের সামনে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বসত বাড়ী উঁচু করার জন্য বালু ব্যবসায়ী মো. জালাল মিয়াজীর কাছ থেকে বালহেডের বডির পরিমাপে বালু ক্রয় করি। আমার বাড়ীতে ড্রেজারের মাধ্যমে নিতে থাকলে মো. জালাল অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমার সাথে প্রতারনাপূর্বক ১০ হাজার ফুটের বাল্কহেড বডির পরিমাপের কথা বলে ৯ টাকা ফুটে বালু দিবে বলে আমাকে ৮ হাজার ২০০ ফুটের বডিরবালু আমাকে দেয়।

এই বিষয়ে মো. জালালকে জানাইলে উত্তেজিত হয়ে ১০ হাজার ফুটের বডি হিসাবে ১ বডি বালু দিয়ে প্রতারনাপূর্বক ভুল হিসাব করে ১৬ হাজার ফুটের বডি দেখাইয়া আমার নিকট থেকে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়ে ব্যবসায়িক মেমোতে উক্ত হিসাব উঠাইয়া আমার নিকট থেকে জোরপূর্বক সহি নেয়। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আমি আপত্তি জানাইলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বিবাদীসহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারী ভাবে লাঠি সোটা দিয়ে পিটাইয়া আমার হাতে, পায়ে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। আমি মাটিতে পড়া থাকাবস্থায় বিবাদী আমার সাথে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

মো. জালাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। মো. জাহাঙ্গীর আলম আমার প্রতিবেশী, তিনি আমার কাছ থেকে কোন বালু নেয়নি। তিনি অন্যজনের বালু নেয়ার মধ্যস্ততাকারি। আমার বালুর বাল্কহেডে প্রায়শই তিনি সহ তার সহযোগীরা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করতো। আমি এ নিয়ে বাঁধা দিলে তার সাথে বিরোধ হয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

মতলব উত্তরে বালুর হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্বে মারধর ॥ থানায় অভিযোগ

আপডেট: ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

মতলব উত্তর ব্যুরো: মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের পূর্ব লালপুর গ্রামে বালুর হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্বে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন সোলেমান হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।

ঘটনাটি ঘটে ৭ জুন রাত ৮.৪০মিনিটে পূর্ব লালপুর গ্রামের মধ্যে মো. শ্যামলের দোকানের সামনে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বসত বাড়ী উঁচু করার জন্য বালু ব্যবসায়ী মো. জালাল মিয়াজীর কাছ থেকে বালহেডের বডির পরিমাপে বালু ক্রয় করি। আমার বাড়ীতে ড্রেজারের মাধ্যমে নিতে থাকলে মো. জালাল অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমার সাথে প্রতারনাপূর্বক ১০ হাজার ফুটের বাল্কহেড বডির পরিমাপের কথা বলে ৯ টাকা ফুটে বালু দিবে বলে আমাকে ৮ হাজার ২০০ ফুটের বডিরবালু আমাকে দেয়।

এই বিষয়ে মো. জালালকে জানাইলে উত্তেজিত হয়ে ১০ হাজার ফুটের বডি হিসাবে ১ বডি বালু দিয়ে প্রতারনাপূর্বক ভুল হিসাব করে ১৬ হাজার ফুটের বডি দেখাইয়া আমার নিকট থেকে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়ে ব্যবসায়িক মেমোতে উক্ত হিসাব উঠাইয়া আমার নিকট থেকে জোরপূর্বক সহি নেয়। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আমি আপত্তি জানাইলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বিবাদীসহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারী ভাবে লাঠি সোটা দিয়ে পিটাইয়া আমার হাতে, পায়ে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। আমি মাটিতে পড়া থাকাবস্থায় বিবাদী আমার সাথে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

মো. জালাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। মো. জাহাঙ্গীর আলম আমার প্রতিবেশী, তিনি আমার কাছ থেকে কোন বালু নেয়নি। তিনি অন্যজনের বালু নেয়ার মধ্যস্ততাকারি। আমার বালুর বাল্কহেডে প্রায়শই তিনি সহ তার সহযোগীরা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করতো। আমি এ নিয়ে বাঁধা দিলে তার সাথে বিরোধ হয়।