• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১ মে, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ১ মে, ২০২০

তবুও আয়ে শীর্ষেই থাকবে মেসি, রোনালদো

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

ক্রীড়া ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতি পোষাতে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের বেতনের ৭০ ভাগ কেটে নেওয়া হতে পারে। জুভেন্টাস কাটছে ৩০ শতাংশ। তাতেও অবশ্য সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলারদের তালিকায় শীর্ষ তিনেই থাকবেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা এখনো অবশ্য বেতন কমানোর প্রস্তাবে রাজি হননি। মেসি বোনাসসহ বার্সেলোনা থেকে বছরে আয় করেন ৮১ মিলিয়ন ইউরো। তিনি বেতন কর্তনের প্রস্তাবে রাজি হলে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো বেঁচে যায় কাতালান ক্লাবটির। বর্তমানে খেলোয়াড়দের পেছনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে বার্সেলোনা। তাদের ৭৭৯ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ের মধ্যে বেতনের পেছনেই যায় ৫৪৫ মিলিয়ন ইউরো। এ মৌসুমে খেলা বন্ধ হওয়ার আগেই ৩৩ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতির মুখ দেখেছে ক্লাবটি। করোনাভাইরাসের প্রভাবে এক মেসির বেতন কমিয়েই সেটি পুষিয়ে নিতে পারে তারা। তবে তাতেও মেসির বার্ষিক আয় থাকবে ৭০ মিলিয়ন ইউরো। অ্যাডিডাস ও পেপসির সঙ্গে দীর্ঘদিনের এনডোর্সমেন্ট চুক্তির ফলেই সেটা সম্ভব হবে। সর্বশেষ মৌসুমে অবশ্য মাঠ ও মাঠের বাইরের উপার্জন মিলিয়ে আর্জেন্টাইন তারকার বার্ষিক আয় ছিল ১১৫ মিলিয়ন ইউরো। এবার সেটিই নেমে আসতে পারে ৭০ মিলিয়নে। তাতেও নেইমার ও রোনালদো ছাড়া বিশ্বের আর সব ফুটবলারের চেয়ে বেশিই আয় থাকবে তাঁর।

আরো পড়ুন; প্রথম ভারতীয় হিসেবে রেকর্ড গড়লেন সানিয়া মির্জার

রোনালদোর বেতনের ৩০ শতাংশ কাটা হলে তাঁর বার্ষিক বেতন দাঁড়াবে ৪১ মিলিয়ন ইউরো। তবে নাইকির সঙ্গে চুক্তি, তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড সিআরসেভেনসহ আরো বেশ কিছু মাধ্যমে বাড়তি ৪০ মিলিয়ন ইউরো তিনি আয় করবেন। যাতে তাঁর বার্ষিক মোট আয় দাঁড়াবে ৮১ মিলিয়ন ইউরো।

ফরাসি পত্রিকা লে’কিপ-এর তথ্য অনুযায়ী প্যারিস সেন্ত জার্মেই এখনো খেলোয়াড়দের বেতন কমানোর কথা বলেনি। তবে ফ্রেঞ্চ লিগের অন্য অনেক ক্লাবই সেই পথে হাঁটছে। নেইমার গত বছর সব মিলিয়ে আয় করেছেন ৯৩ মিলিয়ন ইউরো, সেখানে বেতন ৬৮ মিলিয়ন। জার্মানির দুই জায়ান্ট ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও ডর্টমুন্ডে এরই মধ্যে বেতন কর্তন কার্যকর হয়েছে। বায়ার্নের খেলোয়াড়রা ২০ ভাগ কম বেতনে রাজি হয়েছেন।

ডর্টমুন্ড অবশ্য প্রকাশ করেনি তারা কতটা কমিয়েছে। এর মধ্যেই খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগতভাবেও অর্থ দান করছেন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ও সাহায্যে। বায়ার্ন স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানদোস্কিই সর্বপ্রথম এক মিলিয়ন ইউরো দান করেন। মেসি আর্জেন্টিনা ও স্পেনের দুটি হাসপাতালের জন্য দিয়েছেন এক মিলিয়ন ইউরো। রোনালদো ও তাঁর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেস পর্তুগালে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে সাহায্য দিয়েছেন ১.৬ মিলিয়ন ইউরো। জানা গিয়েছিল এই সময়ে নিরাপদে থাকতে পর্তুগিজ তারকা একটি দ্বীপই কিনে নিচ্ছেন। তবে এই খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে ফোর্বস। ফোর্বস

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • খেলাধুলা এর আরও খবর
error: Content is protected !!