• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৫ জুন, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৫ জুন, ২০১৯

চাঁদপুরের বালিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে অচেতন করে রাতভর ধর্ষণ, আটক ৪

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
স্টাফ রিপোর্টার:

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে অচেতন করে রাতভর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককারী রিপন শেখ(২০) বাঁচাতে সমঝোতার কথা বলে ধর্ষিতা মেয়ের ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার অভিযোগে দুই পক্ষের ৪জন শালিশীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ বালিয়া ইউনিয়নের শেখ বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় দুই পক্ষের সালিশি মোঃ জলিল মাঝি (৫০) মোস্তফা মাঝি (৪২), আইয়ুব আলী শেখ (৪০), মোস্তফা গাজী (৪৫)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

গত ৯ জুন রবিবার সন্ধ্যায় বালিয়া ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড শেখ বাড়ি মালেক শেখের ছেলে বখাটে রিপন শেখ ও তার দুই বন্ধু বালিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ফোন করে বাইরে ডেকে এনে মুখে চাপ দিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায়। তাকে জোর করে সেভেন আপ এর সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দিয়ে অচেতন করে রাতভর ধর্ষণ করে।
ঘটনার দিন রাতে ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীকে বাড়িতে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন আশেপাশের সকল জায়গায় খোঁজ খবর নিতে থাকেন। পরদিন সোমবার ভরে জ্ঞান ফিরে মাদ্রাসার ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসে। এ সময় তার পরিবারের লোকজন সব কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঐদিন রাতের ধর্ষণের ঘটনাটি তাদেরকে জানায়। এই ঘটনা মেয়ের বাবা বখাটে ছেলের পরিবারকে জানালে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এলাকার কিছু দালাল চক্র উঠে পড়ে লাগে। পরে আটক ৪ সালিশি নিজেরা ঘটনাটি মীমাংসা করার কথা বলে সময় দীর্ঘস্থায়ীতো করে ধর্ষিতা মেয়ের ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করে।

ঘটনা সমাধান না করায় মেয়ের বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে ও তাদেরকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার প্রধান আসামি রিপন শেখকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!