মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:
টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হাজীগঞ্জের পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের পান্না আক্তারের। বিষয়টি ফেইসবুকে দিয়ে মানবিক সহায়তা চেয়েছে পান্না আক্তারের শিক্ষকরা। পান্না আক্তার ২০১৯ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করে সম্প্রতি সময়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৭২তম স্থান লাভ করে।
রায়চো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী পান্না আক্তারের বাবা মোঃ দুলাল একজন রিক্সা চালক। মা কোহিনূর বেগম একজন গৃহিনী। ৩ বোনের মধ্যে পান্না সবার ছোট।
এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় ৬৭২ তম স্থান লাভ করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। কিন্তু তাকে ভর্তি করানোর বা লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার ন্যুনতম সামর্থ্য তার পরিবারের নেই।। এমন পরিস্থিতি স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সর্বস্তরের বিবেকবানদের কাছে একটি মেধাকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন পান্না আক্তারের শিক্ষকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, পান্না আক্তার উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনার সব খরচ বহন করেছে জেলা শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীট হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। তার কোচিং চলাকালীন সময়ের সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছিল একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক বেলাল ও তার স্ত্রী সহকারী অধ্যাপক বিলকিছ বেগম
এ বিষয়ে রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পান্না আক্তারের প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষক আবদুল কুদ্দুছ জানান, মেয়েটি আমাদের গ্রামের সন্তান। এক সময় আমাদের স্কুলে প্রাইমারি লেভেল শেষ করেছে। তার কৃতিত্বে আমরা আনন্দিত কিন্তু তার বাবা একজন নিরীহ লোক এবং খুবই গরীব। রিক্সা চালিয়ে জীবীকাহ নির্বাহ করে। বিত্তবানদের সহযোগিতায় মেয়েটি যদি উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করতে পারে এজন্য আমরা বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছি। তিনি বলেন, যেকোন প্রয়োজনে ০১৮৭৩-৭০১৭৮২ যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা পৌঁছানে যাবে।