চাঁদাবাজি ও ধর্ষণ অভিযোগের পাহাড় পুলিশের বিরুদ্ধে , তিন বছরে ৪২ হাজার ৬৩২ জনের সাজা

  • আপডেট: ১২:১৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৮

notunerkotha.com

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিন দিন বাড়ছেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই পুলিশের বিরুদ্ধে সদর দফতরে অভিযোগ আসছে। এসব অভিযোগের মধ্যে ঘুষ, হয়রানি, নারী নির্যাতন, চাঁদা দাবি বা আদায় ছাড়াও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জীবননাশের হুমকির অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের সূত্র জানায়, ই-মেইল, মোবাইল ফোনে বা সরাসরি এসব অভিযোগ আসছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতি মাসে গড়ে ১২০০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চাকরিতে যোগদান করে অল্প সময়ের ব্যবধানে যারা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্তের পর বরখাস্তসহ বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৪২ হাজার ৬৩২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ৪২ হাজার ৪৭৬ জন, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ১৪৫ জন এবং এএসপি থেকে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার ১১ জন রয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে কেবলমাত্র আইজিপি কমপ্লেইন সেলে ২০১৭ সালে ৬১৯টি, ২০১৮ সালে ১৩৭১টি, চলতি বছরের ২১ আগস্ট পর্যন্ত ১৫০৩টি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে লঘুদ , গুরুদ , চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, দুই লাখের বেশি পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। এর মধ্যে একটি ক্ষুদ্র অংশের বিরুদ্ধে অপরাধ বা বিচ্যুতির অভিযোগ আসে। প্রত্যেকটি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া হয়। এরপর তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিটে বা উপযুক্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে তারা শাস্তির সুপারিশ করেন। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ছাড়াও প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধ বা বিচ্যুতির মাত্রা অনুযায়ী তিরস্কার থেকে শুরু করে টাইম স্কেল ও প্রমোশন স্থগিত, চাকরিচ্যুতি, বাধ্যতামূলক অবসর ও পদাবনতির মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত বা রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কাউকেই ছাড় দেওয়া হয় না। এ ছাড়াও অপরাধ প্রবণতা কমাতে পুলিশ সদস্যদের মোটিভেশনাল ট্রেনিংও দেওয়া হচ্ছে। যেখানে অপরাধ করলে সাজা পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাসিনোকা , বাণিজ্য, ক্লাবে জুয়ার আসর, অনৈতিক কর্মকান্ড , ধর্ষণ বা চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের মূল কাজ আইনের সঠিক নজরদারি বা পরিচালনা। তারা যখন নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তখন সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার সংকটে পড়ছে। আর তখনই আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। সারা দেশেই পুলিশের হিংস্রতা বাড়ছে। পুলিশের পেশাগত নৈতিক মানদ বা তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। চলমান অবস্থার জন্য তাদের মানানসই করে তৈরি করা। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে পুুলিশের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক হয়ে পড়ে। ঘটনা-১ : চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ঢাকায় এনে বার বার ধর্ষণ এবং গর্ভপাত করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হককে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়। জানা গেছে, ওসি মাহমুদুল হক ২০০১ সালে এসআই পদে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁয়। চাকরি জীবনে তিনি একটি গুরুদ–ব্ল্যাক মার্ক এবং ২২টি লঘুদন্ডে দ-িত হয়েছেন। তিনি ২০১৭ সালের ২ জুলাই পল্টন থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন। ঘটনা-২ : ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় নেপালি নাগরিকদের পালাতে সহায়তা করায় ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের দুই সদস্যকে বরখাস্ত করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা হলেন- ডিএমপির প্রতিরক্ষা বিভাগের এএসআই গোলাম হোসেন মিঠু ও রমনা থানার কনস্টেবল দীপংকর চাকমা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাস, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে র‌্যাবের অভিযানে ক্যাসিনো থাকার বিষয়টি প্রকাশিত হয়।

যুবলীগের বিভিন্ন নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন এসব ক্যাসিনো পরিচালনায় বিদেশিরা কাজ করতেন। ওই রাতেই সেগুনবাগিচার ভবন সামিট হাসান লজের সিসি ক্যামেরার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে। ওই ভবনে বেশ কয়েকজন নেপালি থাকতেন। ভিডিওতে দেখা যায়, নেপালিরা ওই বাড়ি ছাড়ার আগে সেখানে কয়েকজন প্রবেশ করেন, তাদের একজনের হাতে ওয়াকিটকি ছিল। ভিডিও দেখে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনা-৩ : চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- এসআই মো. লুৎফর রহমান, এএসআই কে এম হাসানুজ্জামান, এএসআই শেখ সাইদুর রহমান, এএসআই গাজী সাজ্জাদুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস, কনস্টেবল জামিউল হাসান ও কনস্টেবল জুয়েল শেখ। পরে তাদের পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

চাঁদাবাজি ও ধর্ষণ অভিযোগের পাহাড় পুলিশের বিরুদ্ধে , তিন বছরে ৪২ হাজার ৬৩২ জনের সাজা

আপডেট: ১২:১৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯

notunerkotha.com

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিন দিন বাড়ছেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই পুলিশের বিরুদ্ধে সদর দফতরে অভিযোগ আসছে। এসব অভিযোগের মধ্যে ঘুষ, হয়রানি, নারী নির্যাতন, চাঁদা দাবি বা আদায় ছাড়াও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জীবননাশের হুমকির অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের সূত্র জানায়, ই-মেইল, মোবাইল ফোনে বা সরাসরি এসব অভিযোগ আসছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতি মাসে গড়ে ১২০০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চাকরিতে যোগদান করে অল্প সময়ের ব্যবধানে যারা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্তের পর বরখাস্তসহ বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৪২ হাজার ৬৩২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ৪২ হাজার ৪৭৬ জন, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ১৪৫ জন এবং এএসপি থেকে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার ১১ জন রয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে কেবলমাত্র আইজিপি কমপ্লেইন সেলে ২০১৭ সালে ৬১৯টি, ২০১৮ সালে ১৩৭১টি, চলতি বছরের ২১ আগস্ট পর্যন্ত ১৫০৩টি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে লঘুদ , গুরুদ , চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, দুই লাখের বেশি পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। এর মধ্যে একটি ক্ষুদ্র অংশের বিরুদ্ধে অপরাধ বা বিচ্যুতির অভিযোগ আসে। প্রত্যেকটি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়া হয়। এরপর তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিটে বা উপযুক্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে তারা শাস্তির সুপারিশ করেন। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ছাড়াও প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধ বা বিচ্যুতির মাত্রা অনুযায়ী তিরস্কার থেকে শুরু করে টাইম স্কেল ও প্রমোশন স্থগিত, চাকরিচ্যুতি, বাধ্যতামূলক অবসর ও পদাবনতির মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত বা রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কাউকেই ছাড় দেওয়া হয় না। এ ছাড়াও অপরাধ প্রবণতা কমাতে পুলিশ সদস্যদের মোটিভেশনাল ট্রেনিংও দেওয়া হচ্ছে। যেখানে অপরাধ করলে সাজা পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাসিনোকা , বাণিজ্য, ক্লাবে জুয়ার আসর, অনৈতিক কর্মকান্ড , ধর্ষণ বা চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের মূল কাজ আইনের সঠিক নজরদারি বা পরিচালনা। তারা যখন নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তখন সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার সংকটে পড়ছে। আর তখনই আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। সারা দেশেই পুলিশের হিংস্রতা বাড়ছে। পুলিশের পেশাগত নৈতিক মানদ বা তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। চলমান অবস্থার জন্য তাদের মানানসই করে তৈরি করা। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে পুুলিশের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক হয়ে পড়ে। ঘটনা-১ : চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ঢাকায় এনে বার বার ধর্ষণ এবং গর্ভপাত করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হককে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়। জানা গেছে, ওসি মাহমুদুল হক ২০০১ সালে এসআই পদে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁয়। চাকরি জীবনে তিনি একটি গুরুদ–ব্ল্যাক মার্ক এবং ২২টি লঘুদন্ডে দ-িত হয়েছেন। তিনি ২০১৭ সালের ২ জুলাই পল্টন থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন। ঘটনা-২ : ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় নেপালি নাগরিকদের পালাতে সহায়তা করায় ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের দুই সদস্যকে বরখাস্ত করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা হলেন- ডিএমপির প্রতিরক্ষা বিভাগের এএসআই গোলাম হোসেন মিঠু ও রমনা থানার কনস্টেবল দীপংকর চাকমা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাস, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে র‌্যাবের অভিযানে ক্যাসিনো থাকার বিষয়টি প্রকাশিত হয়।

যুবলীগের বিভিন্ন নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন এসব ক্যাসিনো পরিচালনায় বিদেশিরা কাজ করতেন। ওই রাতেই সেগুনবাগিচার ভবন সামিট হাসান লজের সিসি ক্যামেরার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে। ওই ভবনে বেশ কয়েকজন নেপালি থাকতেন। ভিডিওতে দেখা যায়, নেপালিরা ওই বাড়ি ছাড়ার আগে সেখানে কয়েকজন প্রবেশ করেন, তাদের একজনের হাতে ওয়াকিটকি ছিল। ভিডিও দেখে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনা-৩ : চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- এসআই মো. লুৎফর রহমান, এএসআই কে এম হাসানুজ্জামান, এএসআই শেখ সাইদুর রহমান, এএসআই গাজী সাজ্জাদুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস, কনস্টেবল জামিউল হাসান ও কনস্টেবল জুয়েল শেখ। পরে তাদের পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়।