বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক, নিরাপত্তা বাহিনির গুলিতে নিহত ৬০

  • আপডেট: ০৬:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে গতকাল শুক্রবারও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভের চতুর্থদিনে এসে নিহতের সংখ্যা প্রায় দিগুণ হয়ে গেছে বলে জানায় দেশটির নিরাপত্তা কর্মী ও চিকিৎসা সূত্র। এদিকে গতকাল শুক্রবার দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদেল মাহদি।

চাকরির সংকট, নিম্নমানের সরকারি সেবা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার থেকে বাগদাদের রাজপথে নামে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে। বিক্ষোভ থামাতে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলতে থাকে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে।

এরকম অবস্থায় গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদেল মাহদি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, যেসব দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছে, তাদের সেসব দাবিদাওয়া মেনে নিতে তার সরকার প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি, বেকারত্ব ও ঘুষের মতো সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবে দেশের দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য একটা মৌলিক আয়ের ব্যবস্থা করতে তিনি নতুন আইন পাশ করবেন বলে জানান।

বিক্ষোভ শুরুর পর জনগণের উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভাষণ শুক্রবার যখন টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছিল, সেই সময় বাগদাদে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদির ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই ইরাকে সবচেয়ে বড়ো বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ মোকাবিলা করা তার জন্য একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।-বিবিসি

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক, নিরাপত্তা বাহিনির গুলিতে নিহত ৬০

আপডেট: ০৬:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে গতকাল শুক্রবারও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভের চতুর্থদিনে এসে নিহতের সংখ্যা প্রায় দিগুণ হয়ে গেছে বলে জানায় দেশটির নিরাপত্তা কর্মী ও চিকিৎসা সূত্র। এদিকে গতকাল শুক্রবার দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদেল মাহদি।

চাকরির সংকট, নিম্নমানের সরকারি সেবা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার থেকে বাগদাদের রাজপথে নামে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে। বিক্ষোভ থামাতে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলতে থাকে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে।

এরকম অবস্থায় গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদেল মাহদি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, যেসব দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছে, তাদের সেসব দাবিদাওয়া মেনে নিতে তার সরকার প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি, বেকারত্ব ও ঘুষের মতো সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবে দেশের দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য একটা মৌলিক আয়ের ব্যবস্থা করতে তিনি নতুন আইন পাশ করবেন বলে জানান।

বিক্ষোভ শুরুর পর জনগণের উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভাষণ শুক্রবার যখন টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছিল, সেই সময় বাগদাদে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদির ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই ইরাকে সবচেয়ে বড়ো বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ মোকাবিলা করা তার জন্য একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।-বিবিসি