‘দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে দুবাইয়ে গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে’

  • আপডেট: ০৬:৩১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯
  • ৪১

অনলাইন ডেস্ক:

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও রাজধানীর মালিবাগে দুই পুলিশ হত্যা মামলার আসামি জিসান আহমেদকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছে পুলিশ সদর দফতর। তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই থেকে দেশে আনা হবে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

বুধবার রাতে জিসানকে দুবাইয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো) মহিউল ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে দুবাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ করছে। তারা জানিয়েছে যে, জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

মহিউল ইসলাম আরও জানান, দুবাই কর্তৃপক্ষ জিসানকে গ্রেফতারের পর যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আইনশৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পলাতক সন্ত্রাসী জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছেন। সেখানে তার নাম বলা হয়েছে আলী আকবর চৌধুরী। ওই পাসপোর্ট নিয়েই তিনি এতদিন দুবাই অবস্থান করছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত এক দশকে দেশের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর নাম তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের অন্যতম হলেন জিসান। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ওই সব এলাকার সরকারি ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন তিনি। ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।

২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুজন ডিবি পুলিশকে হত্যার পর আলোচনায় আসে জিসান। এরপরেই গা ঢাকা দেন। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে সে দেশ ছাড়ে বলে ধারণা করা হয়।

সূত্র জানায়, সেসময় পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।

সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর তার (জিসানের) নাম ফের নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পরে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে জিসান শামীম ও খালেদকে হত্যা করতে লোক ভাড়া করেছিলেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

বড়কুলে ২৪ প্রহর ব্যাপী অখণ্ড মহানাম যজ্ঞ ও ২৪তম বার্ষিক উৎসবের আয়োজন

‘দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে দুবাইয়ে গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে’

আপডেট: ০৬:৩১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও রাজধানীর মালিবাগে দুই পুলিশ হত্যা মামলার আসামি জিসান আহমেদকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছে পুলিশ সদর দফতর। তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই থেকে দেশে আনা হবে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

বুধবার রাতে জিসানকে দুবাইয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো) মহিউল ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে দুবাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ করছে। তারা জানিয়েছে যে, জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

মহিউল ইসলাম আরও জানান, দুবাই কর্তৃপক্ষ জিসানকে গ্রেফতারের পর যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আইনশৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পলাতক সন্ত্রাসী জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছেন। সেখানে তার নাম বলা হয়েছে আলী আকবর চৌধুরী। ওই পাসপোর্ট নিয়েই তিনি এতদিন দুবাই অবস্থান করছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত এক দশকে দেশের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর নাম তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের অন্যতম হলেন জিসান। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ওই সব এলাকার সরকারি ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন তিনি। ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।

২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুজন ডিবি পুলিশকে হত্যার পর আলোচনায় আসে জিসান। এরপরেই গা ঢাকা দেন। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে সে দেশ ছাড়ে বলে ধারণা করা হয়।

সূত্র জানায়, সেসময় পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।

সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর তার (জিসানের) নাম ফের নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পরে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে জিসান শামীম ও খালেদকে হত্যা করতে লোক ভাড়া করেছিলেন।