আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া বিক্ষোভের পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত অধিকৃত কাশ্মীর। শনিবার দিনভর উপত্যকাটির বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শনিবার কাশ্মীরের একাধিক স্থানে অভিযান চালানোর সময় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে অন্তত তিন স্বাধীনতাকামী নিহত হয়। এসময় পাল্টা গুলিতে ভারতীয় বাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে উপত্যকার পুলিশের দুই কর্মী।
কাশ্মীর নিয়ে শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জাতিসংঘে দেয়া ভাষণের পরই পাল্টে গেছে উপত্যকাটির পরিস্থিতি। কাশ্মীরের মানবিক সংকট ও সেখানকার নাগরিকদের অবরুদ্ধ জীবনযাপনের বিষয়টি তুলে ধরে ইমরানের বক্তৃতাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে স্থানীয় জনগণ।
ইমরান খানের বক্তব্যের পর শুক্রবার রাতে শ্রীনগরজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। ইমরান খানের ওই ভাষণের পর রাতেই কাশ্মীরের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন শত শত কাশ্মীরি। এসময় তারা ইমরান খানের পক্ষে শ্লোগান দেয়। এরপর শনিবার চলাচলের ওপর ফের বিধিনিষেধ আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন।
পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শনিবার শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ভ্যান থেকে স্পিকারের মাধ্যমে জনসাধারণের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। বিক্ষোভ প্রতিরোধে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রীনগরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার বন্ধ করেছে সেনারা।
শনিবার সকালে জম্মু কাশ্মীরে দুইটি এনকাউন্টার এবং একটি গ্রেনেড হামলার খবর পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের দাবি, পাঁচ বিদ্রোহী একটি বাড়িতে ঢুকে সেটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে। বাড়িতে প্রবেশের আগে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে শেষ পর্যন্ত বাড়িটি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয় ভারতীয় বাহিনী।