বৃষ্টি থামলেই ঘুমাতে যায় তারা!

  • আপডেট: ০৬:৪০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শোরসাক গ্রামের(উত্তরপাড়া মালের বাড়ি) মৃত গফুর আলীর ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মনোহর আলী। তার জীবন কাটছে খেয়ে নাখেয়ে। স্ত্রী ও তিন বিবাহযোগ্য মেয়ে নিয়ে তার সংসার। টাকার অভাবে বিয়ের বয়স হওয়া সত্বেও মেয়েদের পাত্রস্থ করতে পারছেন না তিনি। একে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তার উপর বয়সের ভারে অনেকটা নুয্য হয়ে পড়েছেনতিনি। প্রায় প্রতিদিনই তার কাটে অনাহারে অর্ধাহারে। নিজের কোন জমি-জমা নেই। মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে যা পান তা দিয়ে সংসার চলে তার।বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কিন্তু স্বামীর ঘরে তার জায়গা হয়নি। স্বামী তাকে ত্যাগ করে অন্য একজনকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। ফলে বাবার বাড়িতেই ঠাঁই হয়েছে তারও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার বসবাসের ঘরটি কোন রকমে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো। রোদ-বৃষ্টির দিনে তাতেই তিনি কোন রকমে বসবাস করছেন। অতিবৃষ্টি-বাদলের দিনে নির্ঘুমরাত কাটে তার। পরিবারের সবাই বসে থাকেন আর অপেক্ষায় থাকেন কখন বৃষ্টি থামবে। বৃষ্টিরদিনে পানির ঢেউ খেলে তার ঘরে। বসবাসের অযোগ্য এই ঘরেই কাটে  তার বছরের ৩৬৫ দিন। সরকারের দেয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কোন সহায়তা তার ভাগ্যে এখনো জুটেনী। তিন মেয়েকে নিয়ে জীবনের বাকী দিনগুলি একটু শান্তিতে ঘুমিয়ে মরতে চান মনোহর আলী ।

তার জিজ্ঞাসা সে কি সরকারের দেয়া একটি ঘর বরাদ্দ পাবেনা?

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর

বৃষ্টি থামলেই ঘুমাতে যায় তারা!

আপডেট: ০৬:৪০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শোরসাক গ্রামের(উত্তরপাড়া মালের বাড়ি) মৃত গফুর আলীর ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মনোহর আলী। তার জীবন কাটছে খেয়ে নাখেয়ে। স্ত্রী ও তিন বিবাহযোগ্য মেয়ে নিয়ে তার সংসার। টাকার অভাবে বিয়ের বয়স হওয়া সত্বেও মেয়েদের পাত্রস্থ করতে পারছেন না তিনি। একে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তার উপর বয়সের ভারে অনেকটা নুয্য হয়ে পড়েছেনতিনি। প্রায় প্রতিদিনই তার কাটে অনাহারে অর্ধাহারে। নিজের কোন জমি-জমা নেই। মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে যা পান তা দিয়ে সংসার চলে তার।বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কিন্তু স্বামীর ঘরে তার জায়গা হয়নি। স্বামী তাকে ত্যাগ করে অন্য একজনকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। ফলে বাবার বাড়িতেই ঠাঁই হয়েছে তারও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার বসবাসের ঘরটি কোন রকমে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো। রোদ-বৃষ্টির দিনে তাতেই তিনি কোন রকমে বসবাস করছেন। অতিবৃষ্টি-বাদলের দিনে নির্ঘুমরাত কাটে তার। পরিবারের সবাই বসে থাকেন আর অপেক্ষায় থাকেন কখন বৃষ্টি থামবে। বৃষ্টিরদিনে পানির ঢেউ খেলে তার ঘরে। বসবাসের অযোগ্য এই ঘরেই কাটে  তার বছরের ৩৬৫ দিন। সরকারের দেয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কোন সহায়তা তার ভাগ্যে এখনো জুটেনী। তিন মেয়েকে নিয়ে জীবনের বাকী দিনগুলি একটু শান্তিতে ঘুমিয়ে মরতে চান মনোহর আলী ।

তার জিজ্ঞাসা সে কি সরকারের দেয়া একটি ঘর বরাদ্দ পাবেনা?