হাজীগঞ্জে পুলিশের হস্তক্ষেপে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

  • আপডেট: ০৪:০০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩৪

নিজস্ব প্রতিনিধি॥
হাজীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে থানা পুলিশীর হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে। আর মুচলেকায় ছাড়া পেলেন মা-বাবা।

ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহম্মদপুর মুন্সি বাড়িতে। সে জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তার সাথীর সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রবাসী যুবকের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো এবং বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিলো।

এসময় গোপন সংবাদ পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও সংঙ্গীয় ফোর্স প্রেরণ করি। পুলিশ বিয়ে বন্ধ করে সাথী আক্তারের বাবা আব্দুল মান্নান মুন্সি ও মা সাজুদা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সাথীকে বিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করলে তাদেরকে এলাকার গন্যমান্যদের জিম্মায় প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

হাজীগঞ্জে পুলিশের হস্তক্ষেপে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

আপডেট: ০৪:০০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি॥
হাজীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে থানা পুলিশীর হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে। আর মুচলেকায় ছাড়া পেলেন মা-বাবা।

ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহম্মদপুর মুন্সি বাড়িতে। সে জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তার সাথীর সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রবাসী যুবকের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো এবং বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিলো।

এসময় গোপন সংবাদ পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও সংঙ্গীয় ফোর্স প্রেরণ করি। পুলিশ বিয়ে বন্ধ করে সাথী আক্তারের বাবা আব্দুল মান্নান মুন্সি ও মা সাজুদা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সাথীকে বিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করলে তাদেরকে এলাকার গন্যমান্যদের জিম্মায় প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।