নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাবারের বিল দিতে এসে অবাক হলেন কাস্টমার। সাত জনের খাবারের বিল আসলো ১ হাজার ৭২০ টাকা। একই সঙ্গে রেস্টেুরেন্টে বসে দুই ঘণ্টা সময় কাটানোর জন্য চার্জ যুক্ত হলো আরও ১ হাজার ৫০০ টাকা।
মোট ৩ হাজার ২২০ টাকা। দর কষাকষি করে ৫০০ টাকা কমিয়ে রশিদের মাধ্যমে ২ হাজার ৭২০ টাকা পরিশোধ করতে হলো তাদের।
ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের নারগিস ফুড প্যাভেলিয়নের। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেরিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের সাত কর্মকর্তা বসে আলাপ-চারিতা ও খাবার খেতে গিয়ে বিপাকে পড়ে
এদের মধ্যে ভুক্তভোগী শাহাদাত ও গোপাল চন্দ্র সৈকত বলেন, প্রথমে দুইজন প্রবেশ করি। তখন সময় ৫ টা ১৫ মিনিট। আধাঘণ্টা পর আরও পাঁচজন আসে। মোট সাতজন কোম্পানির আলাপ ও খাবার শেষে বিল দিতে গিয়ে রোষানলে পড়ি। অগ্রিম বুকিং দেয়াও হয়নি। আমাদের ভিআইপি কেবিনে অন্যান্য কাস্টমারও ছিল। তারাও আমাদের বাড়তি চার্জের বিষয়ে কিছু বলেনি। অথচ বিল দিতে এসে দেখি হলচার্জ ১ হাজার ৫০০ টাকা ধরা হয়েছে। আমাদের মতো আর কেউ যেন এমন রোষানলের শিকার না হয়।’
হোটেলের ম্যানেজার ও মালিক আওলাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা দুইঘণ্টা ছিল। তাই হলচার্জ ধরা হয়েছে।’
ঘণ্টা নিয়মে চার্জ ধরার চার্ট রয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা নাই। তারা তো কোম্পানির লোক। এ জন্য হলচার্জ ধরা হয়েছে।’
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, ‘দুই ঘণ্টায় হলচার্জ ধরা ঠিক হয়নি। তাও আবার ১ হাজার ৫০০ টাকা। রশিদ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নার্গিস হোটেলে কাস্টমার থেকে হোটেল চার্জ বাবদ ১৫’শ টাকা নেয়ার ঘটনায় সাধারন জনগণের মাঝে তোলপাড় শুুরু হয়েছে। এ ঘটনায় সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ওই হোটেলে বেচা কেনায় ধবস নেমেছে। অনেক ভোক্তা ওই হোটেলের খাবার মান নিয়ে ফেসবুকে আজে বাজে কমান্টস করছে।