জিয়া ও এরশাদকে রাষ্ট্রপতি বলা যায় না সংসদের প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৪:৩২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৩

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উচ্চ আদালত মার্শাল ল দিয়ে জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এই রায়ের পর এ দু’জনকে (জিয়া ও এরশাদ) আর রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা যায় না। তবে জেনারেল এরশাদ সাহেব অমায়িক মানুষ ছিলেন, মানুষের প্রতি তার দরদ ছিলো।

আজ রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন প্রয়াত বিরোধী দলের নেতা এইচ এম এরশাদসহ আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, দোষে গুণে মানুষ। আমাদেরও অনেক কিছুই বলার আছে। কারণ আমরাই সব চেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। তারপরও দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে অনেক কিছু হজম করে যাচ্ছি। তিনি প্রয়াত বিরোধী দলের নেতা এইচ এম এরশাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধী দলের নেতা যিনি ছিলেন, সেই জেনারেল এরশাদ এক সময় যখন পাকিস্তান থেকে ফিরে আসেন, তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করান। একসময় তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন।

তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী ছিলেন বিচারপতি সাত্তার। তাঁকে কিন্তু সেনাপ্রধান হিসেবে সাত্তারকে প্রার্থী করেছিলেন জেনারেল এরশাদ। একটি বিদেশি পত্রিকায় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন বিচারপতি সাত্তার সাহেব তাঁর প্রার্থী! সেখানেই আমরা আপত্তি তুলেছিলাম। বিচারপতি সাত্তার সাহেবকে বলেছিলাম, এ ধরণের প্রার্থী হওয়া উচিত না। বরং নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হতে দেন, গণতান্ত্রিক ধারা যেন বজায় থাকে। কিন্তু তারা তা করেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮২ সালে এরশাদ সাহেব যে ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই ক্ষমতা দখলের সুযোগটা কিন্তু খালেদা জিয়াই করে দিয়েছিলেন। করে দিয়েছিল হয়তো একারনেই যে, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে শুধু দুটি বাড়িই নয়, নগদ ১০ লাখ টাকাসহ অনেক সুযোগ সুবিধা জেনারেল এরশাদ দিয়েছিলেন। যে কারণে জিয়া হত্যার ব্যাপারে যে মামলা হয়েছিল চট্টগ্রামে, সে মামলা কিন্তু বিএনপি কখনো চালায়নি।

তিনি বলেন, বহু বছর পরে ১৯৯৪ সালের দিকে এক সময়ে বা বহু বছর পর এসে জেনারেল এরশাদকে তাঁর স্বামী হত্যার জন্য দায়ী করেছেন খালেদা জিয়া। এর পূর্বে কখনো দায়ী করেননি। এগুলো ইতিহাসের একটা অংশ যে, ক্ষমতাটাকে তুলে দেওয়া বা সুযোগ করে দেওয়া। তবে এর বিরুদ্ধে আমরাই প্রতিবাদ করেছি।

সংসদ নেতা বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাকে চলতে হয়েছে। আমি দেশে ফিরে আসার পরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের আমাদের বাড়িতে জেনারেল জিয়া আমাকে ঢুকতেই দেয়নি।

তিনি বলেন, প্রথমে মার্শাল ল জারি করে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে। এরপর নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে নেয়। এই ক্ষমতা দখল প্রথমে জিয়াউর রহমান করে। জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। এরপর এরশাদও নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালত জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের এই ক্ষমতা দখলটাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। উচ্চ আদালত অবৈধ যখন ঘোষণা করেছে, তখন আর এই দুইজনের কেউ আর সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে কিন্তু থাকে না। তাদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করাও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বৈধ নয়। কারণ একটা রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের ধারাটা অব্যাহত রাখার সুযোগ হয়েছে।

জেনারেল এরশাদ সাহেব অমায়িক ছিলেন এবং মানুষের প্রতি তাঁর দরদ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সাভার স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তিতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসে। জেনারেল জিয়া কিন্তু নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিলেও কখনো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি। যেটা করেছেন জেনারেল এরশাদ সাহেব। তিনি আসার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অসমাপ্ত কাজ বা সাভার স্মৃতিসৌধের অসমাপ্ত কাজ বা মুজিব নগরের স্মৃতিসৌধ সেগুলো তৈরি করেছেনে- এতে কোন সন্দেহ নাই।

অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় (এরশাদের শাসনামল) আমি অনেকবার আমাকে গ্রেফতার করা হয়, কারাবরণ করি। আমাদের একেক সময় গ্রেফতার কখনো সাব জেলে রাখা হয়, আবার কখনো গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘির ময়দানে আমাদের সভা করতে বাধা দেওয়া হয়। সরাসরি গুলি ছোঁড়া হয়, সেখানে প্রায় ৩০ জনের মতো মানুষ মারা যায়। এগুলো কিন্তু এরশাদের শাসনামলেই হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় গণতন্ত্র চেয়েছি, যেন গণতন্ত্র অব্যহত থাক। যে কারণে অনেক প্রতিকুল অবস্থায়ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম ১৯৮৬ সালে, যদি সেই নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হতো, তাহলো হয়তো তাঁকে (এরশাদ) এই ধরনের বিতর্কিত হতে হতো না। এরপর ১৯৮৮ সালের নির্বাচন যেটা হয় সেটাও বলতে গেলে কোন দল অংশগ্রহণ করেনি। এরপর আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছিলেন খালেদা জিয়া, তখনও কিন্তু কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। আন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়া মাত্র দেড়মাসের মধ্যে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। সেটাও জনগণের রুদ্ররোষে। অর্থাৎ জনসমর্থন না থাকলে নির্বাচন নিয়ে যে যত বিতর্কিত হোক, যে কথাই বলুক না কেন, যদি জনসমর্থন না থাকে তবে সে নির্বাচেন যদি সত্যিকার ভোট দিয়ে না থাকে তাহলে সেই নির্বাচনে কেউ টিকে থাকতে পারে না। তার প্রমাণ খালেদা জিয়ার ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও জনগণ ভোট দিয়েছে বলেই বিএনপির আন্দোলনের ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দেয়নি। যদি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিত, তবে তারা আন্দোলন করে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারতো। তাই অনেক চড়াউ উৎরাই পার হয়েই আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

জিয়া ও এরশাদকে রাষ্ট্রপতি বলা যায় না সংসদের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৪:৩২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উচ্চ আদালত মার্শাল ল দিয়ে জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এই রায়ের পর এ দু’জনকে (জিয়া ও এরশাদ) আর রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা যায় না। তবে জেনারেল এরশাদ সাহেব অমায়িক মানুষ ছিলেন, মানুষের প্রতি তার দরদ ছিলো।

আজ রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন প্রয়াত বিরোধী দলের নেতা এইচ এম এরশাদসহ আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, দোষে গুণে মানুষ। আমাদেরও অনেক কিছুই বলার আছে। কারণ আমরাই সব চেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। তারপরও দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে অনেক কিছু হজম করে যাচ্ছি। তিনি প্রয়াত বিরোধী দলের নেতা এইচ এম এরশাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধী দলের নেতা যিনি ছিলেন, সেই জেনারেল এরশাদ এক সময় যখন পাকিস্তান থেকে ফিরে আসেন, তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করান। একসময় তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন।

তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী ছিলেন বিচারপতি সাত্তার। তাঁকে কিন্তু সেনাপ্রধান হিসেবে সাত্তারকে প্রার্থী করেছিলেন জেনারেল এরশাদ। একটি বিদেশি পত্রিকায় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন বিচারপতি সাত্তার সাহেব তাঁর প্রার্থী! সেখানেই আমরা আপত্তি তুলেছিলাম। বিচারপতি সাত্তার সাহেবকে বলেছিলাম, এ ধরণের প্রার্থী হওয়া উচিত না। বরং নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হতে দেন, গণতান্ত্রিক ধারা যেন বজায় থাকে। কিন্তু তারা তা করেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮২ সালে এরশাদ সাহেব যে ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই ক্ষমতা দখলের সুযোগটা কিন্তু খালেদা জিয়াই করে দিয়েছিলেন। করে দিয়েছিল হয়তো একারনেই যে, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে শুধু দুটি বাড়িই নয়, নগদ ১০ লাখ টাকাসহ অনেক সুযোগ সুবিধা জেনারেল এরশাদ দিয়েছিলেন। যে কারণে জিয়া হত্যার ব্যাপারে যে মামলা হয়েছিল চট্টগ্রামে, সে মামলা কিন্তু বিএনপি কখনো চালায়নি।

তিনি বলেন, বহু বছর পরে ১৯৯৪ সালের দিকে এক সময়ে বা বহু বছর পর এসে জেনারেল এরশাদকে তাঁর স্বামী হত্যার জন্য দায়ী করেছেন খালেদা জিয়া। এর পূর্বে কখনো দায়ী করেননি। এগুলো ইতিহাসের একটা অংশ যে, ক্ষমতাটাকে তুলে দেওয়া বা সুযোগ করে দেওয়া। তবে এর বিরুদ্ধে আমরাই প্রতিবাদ করেছি।

সংসদ নেতা বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাকে চলতে হয়েছে। আমি দেশে ফিরে আসার পরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের আমাদের বাড়িতে জেনারেল জিয়া আমাকে ঢুকতেই দেয়নি।

তিনি বলেন, প্রথমে মার্শাল ল জারি করে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে। এরপর নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে নেয়। এই ক্ষমতা দখল প্রথমে জিয়াউর রহমান করে। জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। এরপর এরশাদও নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালত জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদের এই ক্ষমতা দখলটাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। উচ্চ আদালত অবৈধ যখন ঘোষণা করেছে, তখন আর এই দুইজনের কেউ আর সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে কিন্তু থাকে না। তাদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করাও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বৈধ নয়। কারণ একটা রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের ধারাটা অব্যাহত রাখার সুযোগ হয়েছে।

জেনারেল এরশাদ সাহেব অমায়িক ছিলেন এবং মানুষের প্রতি তাঁর দরদ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সাভার স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তিতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসে। জেনারেল জিয়া কিন্তু নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিলেও কখনো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি। যেটা করেছেন জেনারেল এরশাদ সাহেব। তিনি আসার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অসমাপ্ত কাজ বা সাভার স্মৃতিসৌধের অসমাপ্ত কাজ বা মুজিব নগরের স্মৃতিসৌধ সেগুলো তৈরি করেছেনে- এতে কোন সন্দেহ নাই।

অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় (এরশাদের শাসনামল) আমি অনেকবার আমাকে গ্রেফতার করা হয়, কারাবরণ করি। আমাদের একেক সময় গ্রেফতার কখনো সাব জেলে রাখা হয়, আবার কখনো গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘির ময়দানে আমাদের সভা করতে বাধা দেওয়া হয়। সরাসরি গুলি ছোঁড়া হয়, সেখানে প্রায় ৩০ জনের মতো মানুষ মারা যায়। এগুলো কিন্তু এরশাদের শাসনামলেই হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় গণতন্ত্র চেয়েছি, যেন গণতন্ত্র অব্যহত থাক। যে কারণে অনেক প্রতিকুল অবস্থায়ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম ১৯৮৬ সালে, যদি সেই নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হতো, তাহলো হয়তো তাঁকে (এরশাদ) এই ধরনের বিতর্কিত হতে হতো না। এরপর ১৯৮৮ সালের নির্বাচন যেটা হয় সেটাও বলতে গেলে কোন দল অংশগ্রহণ করেনি। এরপর আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছিলেন খালেদা জিয়া, তখনও কিন্তু কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। আন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়া মাত্র দেড়মাসের মধ্যে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। সেটাও জনগণের রুদ্ররোষে। অর্থাৎ জনসমর্থন না থাকলে নির্বাচন নিয়ে যে যত বিতর্কিত হোক, যে কথাই বলুক না কেন, যদি জনসমর্থন না থাকে তবে সে নির্বাচেন যদি সত্যিকার ভোট দিয়ে না থাকে তাহলে সেই নির্বাচনে কেউ টিকে থাকতে পারে না। তার প্রমাণ খালেদা জিয়ার ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও জনগণ ভোট দিয়েছে বলেই বিএনপির আন্দোলনের ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দেয়নি। যদি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিত, তবে তারা আন্দোলন করে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারতো। তাই অনেক চড়াউ উৎরাই পার হয়েই আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে।