কক্সবাজারে উখিয়ায় শেড এনজিওর গুদামে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র

  • আপডেট: ০১:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৪৩

অনলাইন ডেস্ক:

উখিয়া উপজেলা প্রশাসন মালভিটায় অবস্থিত এনজিও শেডের গুদামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, আইওএম প্রদত্ত এসব অস্ত্র কৃষি কাজে ব্যবহারে স্থানীয়দের বিতরণের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এনজিওদের তৈরি ও সরবরাহ করা বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র স্থানীয়দের পক্ষে এক সময় বুমেরাং হতে পারে। এলাকায় তোলপাড়।

উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম জানান, গোপনে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে উখিয়া সদর মালভিটাপাড়া এনজিও সংস্থা শেডের ভাড়াটিয়া গুদামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় উখিয়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় এক হাজার সাতশটি রাম দা, দুই হাজার দুইশটি বেঞ্চা (হাতুড়িসহ), এক হাজার একশটি হাতুড়ি (লোহার তৈরি), এক হাজার দুইশটি স্টিলের প্লাস, বারোশ করাত ও এক হাজার লাঠি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ছুরি, চাপাতিসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।

ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জানান, যেসব যন্ত্রপাতি এনজিও সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করছে তা স্থানীয়দের জন্য মারাত্মক হুমকির।

আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে মাদকাসক্ত ভাইয়ের নির্যাতন থেকে বাঁচতে সেইফ হোমকে বেছে নিল দত্তক নেয়া কিশোরী

এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, এনজিও সংস্থা শেড সংশ্লিষ্টদের তৈরি ও মজুদ রাখা এসব জিনিসপত্র কি কাজে ব্যবহৃত হবে তার বৈধতা, অনুমতি পত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

এনজিও শেডের সমন্বয়কারী আবু সরোয়ার জানান, হত দরিদ্রদের কৃষি, ক্ষেত খামার কাজে ব্যবহার করার জন্য এনজিও সংস্থা আইএমও তাদের সরবরাহ করেছে। তবে এখনও স্থানীয়দের প্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, এর আগেও একটি এনজিও সংস্থা থেকে একই ধরণের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। যে কারণে স্থানীয়দের মধ্যে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এনজিও সংস্থা শেড থেকে যেসব অস্ত্র ও লোহার তৈরি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

বড়কুলে ২৪ প্রহর ব্যাপী অখণ্ড মহানাম যজ্ঞ ও ২৪তম বার্ষিক উৎসবের আয়োজন

কক্সবাজারে উখিয়ায় শেড এনজিওর গুদামে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র

আপডেট: ০১:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

উখিয়া উপজেলা প্রশাসন মালভিটায় অবস্থিত এনজিও শেডের গুদামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, আইওএম প্রদত্ত এসব অস্ত্র কৃষি কাজে ব্যবহারে স্থানীয়দের বিতরণের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এনজিওদের তৈরি ও সরবরাহ করা বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র স্থানীয়দের পক্ষে এক সময় বুমেরাং হতে পারে। এলাকায় তোলপাড়।

উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম জানান, গোপনে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে উখিয়া সদর মালভিটাপাড়া এনজিও সংস্থা শেডের ভাড়াটিয়া গুদামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় উখিয়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় এক হাজার সাতশটি রাম দা, দুই হাজার দুইশটি বেঞ্চা (হাতুড়িসহ), এক হাজার একশটি হাতুড়ি (লোহার তৈরি), এক হাজার দুইশটি স্টিলের প্লাস, বারোশ করাত ও এক হাজার লাঠি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ছুরি, চাপাতিসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।

ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জানান, যেসব যন্ত্রপাতি এনজিও সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করছে তা স্থানীয়দের জন্য মারাত্মক হুমকির।

আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে মাদকাসক্ত ভাইয়ের নির্যাতন থেকে বাঁচতে সেইফ হোমকে বেছে নিল দত্তক নেয়া কিশোরী

এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, এনজিও সংস্থা শেড সংশ্লিষ্টদের তৈরি ও মজুদ রাখা এসব জিনিসপত্র কি কাজে ব্যবহৃত হবে তার বৈধতা, অনুমতি পত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

এনজিও শেডের সমন্বয়কারী আবু সরোয়ার জানান, হত দরিদ্রদের কৃষি, ক্ষেত খামার কাজে ব্যবহার করার জন্য এনজিও সংস্থা আইএমও তাদের সরবরাহ করেছে। তবে এখনও স্থানীয়দের প্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, এর আগেও একটি এনজিও সংস্থা থেকে একই ধরণের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। যে কারণে স্থানীয়দের মধ্যে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এনজিও সংস্থা শেড থেকে যেসব অস্ত্র ও লোহার তৈরি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।