ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার নির্যাতনের শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরীকে মেডিকেল চেকআপের জন্যে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। মানসিক রোগী হওয়ায় ওই কিশোরীর মেডিকেল চেকআপ করা হয়নি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, কিশোরীটি মানসিক সমস্যায় ভোগার কারণে গাইনী বিভাগের চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে সে তার পরীক্ষা না করানোর কারণে আমরা ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়েছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী কিশোরী ওই এলাকার বশির আহমেদ ও মানছুরা বেগমের মেয়ে।
ধর্ষণের ঘটনায় মা মানছুরা বেগম বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় গত ২৩ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৮, তাং-২৩/০৮/১৯। ওই মামলাটি ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধিত ২০০৩-এর ১০ ধারায় করা হয়েছে।
কিশোরীর বাবা বশির আহমেদ জানান, গত ২০ আগস্ট কিশোরী তার নানার বাড়িতে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে বাড়ির পূর্ব দিক থেকে জোরপূর্বক তুলে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। সেখানে হাসুর পাকা ভবনের ছাদে নিয়ে তাকে নির্যাতন করে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর তাকে শেখের দোকান নামক স্থানে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম ঢালী ও তার এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, কিশোরীটি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হলে একা পেয়ে জসীম ঢালী ও তার দুই সহযোগী হানু বেপারী ও ওসমান বেপারীসহ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা মানছুরা বেগম বলেন, আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যাওয়ার পথে একা পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ভাতিজা জসীম ঢালী ও তার সহযোগীরা জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান, কিশোরীর মা ধর্ষণের একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারই আলোকে জসীম ঢালী (৩০) ও তার এক সহযোগী আয়াত উল্লাহ (৩০) আটক করা হয়েছে। অপরদিকে হান্নান প্রকাশ হানু ও ওসমান পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নাসির উদ্দিন মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্যে চেষ্টা করছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি জানায়।