যারা রোহিঙ্গাদের প্ররোচনা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট: ০১:০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪৭

নতুনেরকথা অনলাইন :

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনের জন্য কেউ রাজি না হওয়াটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএম আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না যাওয়ার জন্য যারা প্ররোচনা দিয়েছে, যারা ইংরেজিতে পোস্টার, প্লেকার্ড লিখে সাপ্লাই দিয়েছে এবং যে সমস্ত এনজিও না যাওয়ার জন্য তাদের আহবান জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছিলাম আজ থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি শুরু করতে। এটি চুক্তি অনুযায়ী দুই বছর চলার কথা। কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক তা আজ আমরা শুরু করতে পারলাম না। আমরা প্রস্তুত ছিলাম কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও যেতে রাজি হয়নি। আমরা অপেক্ষায় থাকবো। চেষ্টা চালিয়ে যাব। যখন কেউ রাজি হবে আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের উচিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে যে আস্থার সংকট আছে সেটা দূর করা। সমস্যাটি তাদের সৃষ্টি, সমাধানও তাদেরই করতে হবে। আমার সাজেশন থাকবে তারা বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে নিয়ে যাক। মিয়ানমার রাখাইনে কি উন্নয়ন করেছে, রোহিঙ্গাদের জন্য কি বব্যস্থা করেছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য কি আয়োজন রয়েছে, সেটা তাদের দেখাক। বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকদেরও নিয়ে যেতে পারে। এতে আস্থার সংকট দূর হবে এবং রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনে উৎসাহিত হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি বিভিন্ন দেশের লোককে নিয়ে একটা কমিশন গঠন করব। তাদেরকে মিয়ানমার রাখাইনে নিয়ে যেতে পারে এবং প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ কতটা সৃষ্টি হয়েছে সেটা দেখাতে পারে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

যারা রোহিঙ্গাদের প্ররোচনা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০১:০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯

নতুনেরকথা অনলাইন :

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনের জন্য কেউ রাজি না হওয়াটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএম আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না যাওয়ার জন্য যারা প্ররোচনা দিয়েছে, যারা ইংরেজিতে পোস্টার, প্লেকার্ড লিখে সাপ্লাই দিয়েছে এবং যে সমস্ত এনজিও না যাওয়ার জন্য তাদের আহবান জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছিলাম আজ থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি শুরু করতে। এটি চুক্তি অনুযায়ী দুই বছর চলার কথা। কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক তা আজ আমরা শুরু করতে পারলাম না। আমরা প্রস্তুত ছিলাম কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও যেতে রাজি হয়নি। আমরা অপেক্ষায় থাকবো। চেষ্টা চালিয়ে যাব। যখন কেউ রাজি হবে আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের উচিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে যে আস্থার সংকট আছে সেটা দূর করা। সমস্যাটি তাদের সৃষ্টি, সমাধানও তাদেরই করতে হবে। আমার সাজেশন থাকবে তারা বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে নিয়ে যাক। মিয়ানমার রাখাইনে কি উন্নয়ন করেছে, রোহিঙ্গাদের জন্য কি বব্যস্থা করেছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য কি আয়োজন রয়েছে, সেটা তাদের দেখাক। বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকদেরও নিয়ে যেতে পারে। এতে আস্থার সংকট দূর হবে এবং রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনে উৎসাহিত হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি বিভিন্ন দেশের লোককে নিয়ে একটা কমিশন গঠন করব। তাদেরকে মিয়ানমার রাখাইনে নিয়ে যেতে পারে এবং প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ কতটা সৃষ্টি হয়েছে সেটা দেখাতে পারে।