হাতে মেহেদি লাগাতে গিয়ে গণধর্ষণর শিকার স্কুল ছাত্রী

  • আপডেট: ১২:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪৪

অনলাইন ডেস্ক:

ভোলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর (১২) আর ঈদ করা হলো না। ঈদের আগের রাতে মেহেদি দিয়ে হাত রাঙাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে রক্তে রঞ্জিত হলো তার শরীর। জীবন-মৃত্যুর মাঝে ছটফট করছে অসহায় ওই কিশোরী। ধর্ষিতাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।

ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ভোলা সদর উপজেলার উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর সিফলী গ্রামের কৃষক মো. হানিফ (৪০) ঈদ উপলক্ষে তার আদরের দুই মেয়ের জন্য বাজার থেকে মেহেদি কিনে আনেন। রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাদের বাবা গরু বিক্রি করার টাকা আনতে ভোলা শহরে যান। বাবা শহরে চলে যাওয়ার পর দুই বোন রাত ৮টার দিকে পাশ্ববর্তী দুঃসর্ম্পকের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে যায়। ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া ভোলা আদালতের মুহুরী আল আমিন (২৫) ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় আলমিনের স্ত্রী ঘরে ছিল না। এই সুযোগে হঠাৎ করে ওই ছাত্রীকে আলামিন ও তার সহযোগী বখাটে যুবক মঞ্জুর আলম (৩০) জাপটে ধরে হাত-পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মমিনুল ইসলাম ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন বলে স্বীকার করে জানান, ধর্ষিতার বয়স কম হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধর্ষিতার গোপন অঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ডাক্তার না থাকায় সেলাই দেয়ার মতো অবস্থাও ভোলায় নেই। ধর্ষিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (আজ) বরিশালে প্রেরণ করা হবে।’

ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত আল আমিন ও মঞ্জুর আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানে আফগানিস্তানের ভয়াবহ হামলা নিহত ১৯

হাতে মেহেদি লাগাতে গিয়ে গণধর্ষণর শিকার স্কুল ছাত্রী

আপডেট: ১২:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

ভোলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর (১২) আর ঈদ করা হলো না। ঈদের আগের রাতে মেহেদি দিয়ে হাত রাঙাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে রক্তে রঞ্জিত হলো তার শরীর। জীবন-মৃত্যুর মাঝে ছটফট করছে অসহায় ওই কিশোরী। ধর্ষিতাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।

ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ভোলা সদর উপজেলার উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর সিফলী গ্রামের কৃষক মো. হানিফ (৪০) ঈদ উপলক্ষে তার আদরের দুই মেয়ের জন্য বাজার থেকে মেহেদি কিনে আনেন। রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাদের বাবা গরু বিক্রি করার টাকা আনতে ভোলা শহরে যান। বাবা শহরে চলে যাওয়ার পর দুই বোন রাত ৮টার দিকে পাশ্ববর্তী দুঃসর্ম্পকের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে যায়। ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া ভোলা আদালতের মুহুরী আল আমিন (২৫) ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় আলমিনের স্ত্রী ঘরে ছিল না। এই সুযোগে হঠাৎ করে ওই ছাত্রীকে আলামিন ও তার সহযোগী বখাটে যুবক মঞ্জুর আলম (৩০) জাপটে ধরে হাত-পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মমিনুল ইসলাম ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন বলে স্বীকার করে জানান, ধর্ষিতার বয়স কম হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধর্ষিতার গোপন অঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ডাক্তার না থাকায় সেলাই দেয়ার মতো অবস্থাও ভোলায় নেই। ধর্ষিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (আজ) বরিশালে প্রেরণ করা হবে।’

ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত আল আমিন ও মঞ্জুর আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।