হাজীগঞ্জের ২নং বাকিলা ইউনিয়ন পশ্চিম রাধাসার বকাউল বাড়ীতে গত ২৭ মে (সোমবার) দিবাগত রাতে ঘরে প্রবেশ করে নৃশসংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় প্রবাসি ইউসুফের মা হামিদুননেছা (৭০) ও তার ছেলে আরাফাতকে (১২)। এসময় তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে হালিমা আকতারকেও নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
নিহত আরাফাত শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং গুরুতর আহত হালিমা আকতার একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিষয়টি প্রথমে ডাকাতি বলে প্রচার হলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতির কোন আলামত পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রেম, পরকীয়া, পারিবারিক বিরোধ ৩টি বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে।
এ দিকে প্রবাসি ইউসুফের মা ও ছেলে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে তার স্ত্রী শাহিনা বেগম। যার মামলা নং ২২। তারিখ ৩০ মে/২০২৪।
এ দিকে মা ছেলেকে হত্যার খবর শুনে বিদেশ থেকে দেশে ছুটে আসেন প্রবাসি ইউসুফ, তার বড় ভাই ইসমাইল, ছোট ভাই কামরুল। তারা দেশে আসার পরই বুধবার বিকেলে জানাযা শেষে তাদের মা হামিদুননেছা ও ছেলে আরাফাতের মৃতদেহ দাফন করা হয়।
প্রবাসি ইউসুফ তার মা হামিদুননেছা ও ছেলে আরাফাত হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, আমরা তিন ভাই প্রবাসি। আমাদের কোন শত্রু নেই। আমরা যদদূর পারি এলাকার মানুষকে দান অনুদান প্রদান করি। কে বা কাহারা কেন আমাদের এ ক্ষতিটা করলো বিষয়টি প্রশাসন ক্ষতিয়ে দেখবে। আমরা এর বিচার চাই।
ইউসুফের বড় ভাই ইসমাইল বলেন, আমি চাই যারা আমার মা ও ভাতিজাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তাদের বিচার হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এর বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুর রহমান বলেন, এ মামলায় কাউকে আটক করা হয়নি। সন্দেহজনক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাকে প্রয়োজন তাকে আনা হচ্ছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তদন্তকারি কর্মকর্তা বলেন এ মামলাটি তদন্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত হালিমা আকতারের সাথে কথা হচ্ছে। সকল তথ্যই যাছাই বাছাই করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তের বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।