• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২৪

হাজীগঞ্জে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আটক-২

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-নতুনেরকথা।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন। এই ঘটনায় শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে পৌরসভাধীন ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া গ্রামের বৈষ্ণব বাড়ির সামনে থেকে ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, ওই গ্রামের মুন্সীর বাড়ির সামছুল হকের ছেলে মোতালেব (৩০) ও আলাবক্স মিয়া বাড়ির মাসুদ রানার ছেলে অপু (৩০)।

জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রান্ধুনীমূড়া গ্রামের বৈষ্ণব বাড়ির মোস্তফার ছেলে শুভর (১৯) বসতঘর সংলগ্ন বাথরুমের ছাদে ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার সময় মোতালেবকে আটক করা হয়। এসময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই বাড়ির সামনে থেকে অপুকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় শুভসহ স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দসহ অপু ও মোতালেবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আটক মোতালেবের সাথে সংবাদকর্মীদের কথা হলে তিনি বলেন, অপু আমাকে বলেছে বৈষ্ণব বাড়ির শুভদের টয়লেটের ছাদে একটি প্যাকেট রয়েছে। ওই প্যাকেটটি যেন আমি নিয়ে আসি। তার কথা-মতো আমি ওই বাড়িতে গিয়ে টয়লেটের ছাদ থেকে প্যাকেটটি নিলে তারা আমাকে আটক করে।

এ দিকে মোতালেবের কথা অস্বীকার করে অপু বলেন, আমি বাড়ির সামনে ছিলাম। এ সময় শুভসহ কয়েকজন লোক আমাকে ধরে নিয়ে আসে। তারা (শুভ) মোতালেবসহ নাটক করে আমাকে ফাঁসাচ্ছে।

এ বিষয়ে শুভ বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশ আমাদের ঘরে তল্লাশি চালায়। পরে তারা কিছু না পেয়ে চলে যায়। তল্লাশির সময় আমি ঘরে ছিলাম না। তবে আমার বড় ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরে ছিলেন। এদিকে পুলিশ আসার আগে ও পরে অপু আমাদের বাড়িতে কয়েকবার আসে। তখন আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি নাই। আজ (শনিবার) সকালে যখন মোতালেবকে ইয়াবাসহ আটক করি। তখন বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাদেকুজ্জামান মুন্সীর সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। এই ঘটনায় টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। নিউজ হওয়ার পর সে (কাউন্সিলর) আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যসহ যারা টিভিতে বক্তব্য দিয়েছে, তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। সে এখন আমাদেরকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

রাজন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, এলাকার জুয়া ও মাদক নিয়ে আমরা সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিয়েছি। এজন্য আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। এখন শুভদের ঘরে ইয়াবা রাখছে। কালকে আমার ঘরে যদি ইয়াবা রাখে, তখন আমার কি হবে ? এজন্য আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা নিরাপত্তা চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সাদেকুজ্জামান মুন্সির সাথে সংবাদকর্মীদের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

ইয়াবাসহ দুই যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • হাজীগঞ্জ এর আরও খবর
error: Content is protected !!