বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে প্রথম পক্ষের ভবননির্মান

  • আপডেট: ১২:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
  • ৩১

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

চাঁদপুরের বালিয়া ইউনিয়নে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রথম পক্ষের ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ গুলিশা মদিনা বাজারে একটি ভবনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।

জমির সম্পূর্ণ মালিকানা দাবিদার বড় ভাই মাইন উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন বেগম (প্রথম পক্ষ) উপরে মেঝ ভাই ইমান হোসেন (দ্বিতীয় পক্ষ) এই অভিযোগ করেন। এইদিকে মাইন উদ্দিন ১০-১০-২০১৭ সালে  তার স্ত্রী পারভীন বেগমকে আমমোক্তারনামা মূলে জমির পূর্নাঙ্গ মালিকানার ক্ষমতা দেন। অথচ উক্ত জমির খরিদ সুত্রে অর্ধেক মালিকানা দাবি করেছেন মেঝ ভাই প্রবাসী ইমান হোসেন খান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালিয়া ইউনিয়নের মদিনা মার্কেটে নির্মাণাধীন একটি ভবনে বিজ্ঞ আদালত কোন ধরনের কাজ না করার নির্দেশনা দেন। জমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যা থাকার কারনে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এর আগে প্রবাসী ইমান হোসেন খান নিজ সম্পত্তিতে ভবনের কাজ শুরু করলে পারভীন বেগম বাধা প্রদান করেন। এসময় সম্পত্ত নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে বাজারে একটি গ্রাম্যসালিশ বসে। ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল কাদির, বাজার কমিটির সভাপতি ডাঃ মাহবুবুর রহমান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি সমাধান দেওয়া হয়।

কিন্তু গ্রাম্যসালিশ উপেক্ষা করে মালিকানা দাবিদার পারভীন বেগম আদালতে জমিতে কোনপ্রকার কাজ না করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। অথচ নিজেই আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ভবনের কাজ করার জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট, রড ইত্যাদি এনে ভবনের সামনে রাখে। এই বিষয়ে ইমান হোসেন খান বাধা দিলেও তারা ভবনের কাজ করতে থাকে। তিনি তাৎক্ষণিক ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনার স্থলে এসে সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী ইমান হোসেন খান বলেন, আমি এই জমিতে ১ শতাংশ ২৫ পয়েন্টের মালিক। আমার ভাই ও একই পরিমাণ সম্পত্তির মালিক। আমার নিজ মালিকানা সম্পত্তিতে আমি কাজ শুরু করলে তারা বাধা প্রদান করে। এবং বলে তারা সম্পূর্ণ জায়গার মালিক। জমিতে বিজ্ঞ আদালতের ১৪৫ ধারায় সকল কাজ বন্ধ রাখার একটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বিজ্ঞ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি কোন ধরনের কাজ করিনি। কিন্তু তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবার কাজ শুরু করে। সম্পতি বুঝে পেতে আমি প্রশাসন ও আদালতের কাছে সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রথম পক্ষ পারভীন বেগমের সাথে এই বিষয়ে একাধিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিলে তার বৃদ্ধ শশুর আঃ গফুর খান বলেন তিনি বাসায় নেই। এবং তিনি চান দুই ছেলের মাঝে জমি সংক্রান্ত বিরোধে যেন দ্রুত মিমাংসা হয়।

৯নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল কাদির ও বাজার কমিটির সভাপতি ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা দুপক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে বসে সমাধানের লক্ষ্যে ডেকেছিলাম। কিন্তু এক পক্ষ আসলেও অন্য পক্ষ আমাদের ডাকে সারা দেয়নি। তাই প্রবাসী ঈমান হোসেন খানকে ধৈর্য ধরার জন্য বলি। গত বৃহস্পতিবার পারভীন বেগম পুনরায় কাজ করতে গেলে পুলিশ এসে বাধা দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ নির্দেশনা কাজ বন্ধ থাকে। এবং তারা বলে যদি পুনরায় কাজ করা হয় তাহলে পুলিশকে জানানোর জন্য। আমরা আশা করব বিজ্ঞ আদালতে এর সঠিক সমাধান হবে। এবং এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে প্রথম পক্ষের ভবননির্মান

আপডেট: ১২:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

চাঁদপুরের বালিয়া ইউনিয়নে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রথম পক্ষের ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ গুলিশা মদিনা বাজারে একটি ভবনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।

জমির সম্পূর্ণ মালিকানা দাবিদার বড় ভাই মাইন উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন বেগম (প্রথম পক্ষ) উপরে মেঝ ভাই ইমান হোসেন (দ্বিতীয় পক্ষ) এই অভিযোগ করেন। এইদিকে মাইন উদ্দিন ১০-১০-২০১৭ সালে  তার স্ত্রী পারভীন বেগমকে আমমোক্তারনামা মূলে জমির পূর্নাঙ্গ মালিকানার ক্ষমতা দেন। অথচ উক্ত জমির খরিদ সুত্রে অর্ধেক মালিকানা দাবি করেছেন মেঝ ভাই প্রবাসী ইমান হোসেন খান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালিয়া ইউনিয়নের মদিনা মার্কেটে নির্মাণাধীন একটি ভবনে বিজ্ঞ আদালত কোন ধরনের কাজ না করার নির্দেশনা দেন। জমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যা থাকার কারনে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এর আগে প্রবাসী ইমান হোসেন খান নিজ সম্পত্তিতে ভবনের কাজ শুরু করলে পারভীন বেগম বাধা প্রদান করেন। এসময় সম্পত্ত নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে বাজারে একটি গ্রাম্যসালিশ বসে। ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল কাদির, বাজার কমিটির সভাপতি ডাঃ মাহবুবুর রহমান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি সমাধান দেওয়া হয়।

কিন্তু গ্রাম্যসালিশ উপেক্ষা করে মালিকানা দাবিদার পারভীন বেগম আদালতে জমিতে কোনপ্রকার কাজ না করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। অথচ নিজেই আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ভবনের কাজ করার জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট, রড ইত্যাদি এনে ভবনের সামনে রাখে। এই বিষয়ে ইমান হোসেন খান বাধা দিলেও তারা ভবনের কাজ করতে থাকে। তিনি তাৎক্ষণিক ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনার স্থলে এসে সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী ইমান হোসেন খান বলেন, আমি এই জমিতে ১ শতাংশ ২৫ পয়েন্টের মালিক। আমার ভাই ও একই পরিমাণ সম্পত্তির মালিক। আমার নিজ মালিকানা সম্পত্তিতে আমি কাজ শুরু করলে তারা বাধা প্রদান করে। এবং বলে তারা সম্পূর্ণ জায়গার মালিক। জমিতে বিজ্ঞ আদালতের ১৪৫ ধারায় সকল কাজ বন্ধ রাখার একটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বিজ্ঞ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি কোন ধরনের কাজ করিনি। কিন্তু তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবার কাজ শুরু করে। সম্পতি বুঝে পেতে আমি প্রশাসন ও আদালতের কাছে সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রথম পক্ষ পারভীন বেগমের সাথে এই বিষয়ে একাধিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিলে তার বৃদ্ধ শশুর আঃ গফুর খান বলেন তিনি বাসায় নেই। এবং তিনি চান দুই ছেলের মাঝে জমি সংক্রান্ত বিরোধে যেন দ্রুত মিমাংসা হয়।

৯নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল কাদির ও বাজার কমিটির সভাপতি ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা দুপক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে বসে সমাধানের লক্ষ্যে ডেকেছিলাম। কিন্তু এক পক্ষ আসলেও অন্য পক্ষ আমাদের ডাকে সারা দেয়নি। তাই প্রবাসী ঈমান হোসেন খানকে ধৈর্য ধরার জন্য বলি। গত বৃহস্পতিবার পারভীন বেগম পুনরায় কাজ করতে গেলে পুলিশ এসে বাধা দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ নির্দেশনা কাজ বন্ধ থাকে। এবং তারা বলে যদি পুনরায় কাজ করা হয় তাহলে পুলিশকে জানানোর জন্য। আমরা আশা করব বিজ্ঞ আদালতে এর সঠিক সমাধান হবে। এবং এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।