শাহরাস্তির কাদরায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

  • আপডেট: ০৯:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৩২

মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াঃ

শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন এর কাদরা গ্রামের মুন্সিবাড়ির মৃত ইসহাক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ওমর ফারুক এর ঘর থেকে রাবেয়া আক্তার আনিসা (১৭) নামের এক কিশোরীর লাশ শাহারাস্তি থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে।

বুধবার সকালে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায় প্রায় বছর খানেক পূর্বে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল চাটখিল থানার পাংশা গ্রামের ছালে আহম্মদের ছেলে মোঃ বাদলের সাথে সে প্রবাসে থাকায় তার সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয় নাই। বিয়ে না হলেও তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে ফোনালাপ চলত।

প্রায় ১৪/১৫ দিন আগে ওই কিশোরী তার নানার বাড়ী শাহরাস্তি থানার কাদরা গ্রামের মুন্সী বাড়ীতে বেড়াতে আসে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর)সন্ধায় তার হবু স্বামী বাদল ও তার বাবা মায়ের সাথে ফোনে কথাবার্তা হয়, তবে কি কথা হয়েছে তা মেয়ের পরিবারের কেউ জানেনা।

ভোর চারটার দিকে তার খালাত বোন তোহা (১২) তার মামা ওমর ফারুকের ঘরে ঝুলন্তবস্তায় আনিসার লাশ দেখতে পায়। তার ডাক চিৎকারে বাড়ি লোকজন ছুটে এসে ঘরের আড়ার সাথে ছাদুর পেঁছানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে ঘটনা জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

ফোনে আনিছার ভাই সোহাগ এ প্রতিনিধিকে জানান ফোনে আমার বোনের সাথে এমন কোন কথাবার্তা হয়েছে, যার কারনে সে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। তার মারা যাওয়ার কথা বাদলের বাবা মা শুনলে ও এ পর্যন্ত কেউ আসেনী।

তবে এলাকার লোকজন বলছে ভিন্ন কথা, আনিসাকে অন্যত্রে বিয়ে দেওয়ার কথাবার্তা হয়েছিল, যার জন্য সে এ পথ বেছে নিয়েছে। তবে এমন কথা তার পরিবার অস্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল মান্নান বলেন লাশ মর্গে প্ররণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কোন কারণে সে এমন কাজ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃর্ত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

শাহরাস্তির কাদরায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট: ০৯:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াঃ

শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন এর কাদরা গ্রামের মুন্সিবাড়ির মৃত ইসহাক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ওমর ফারুক এর ঘর থেকে রাবেয়া আক্তার আনিসা (১৭) নামের এক কিশোরীর লাশ শাহারাস্তি থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে।

বুধবার সকালে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায় প্রায় বছর খানেক পূর্বে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল চাটখিল থানার পাংশা গ্রামের ছালে আহম্মদের ছেলে মোঃ বাদলের সাথে সে প্রবাসে থাকায় তার সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয় নাই। বিয়ে না হলেও তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে ফোনালাপ চলত।

প্রায় ১৪/১৫ দিন আগে ওই কিশোরী তার নানার বাড়ী শাহরাস্তি থানার কাদরা গ্রামের মুন্সী বাড়ীতে বেড়াতে আসে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর)সন্ধায় তার হবু স্বামী বাদল ও তার বাবা মায়ের সাথে ফোনে কথাবার্তা হয়, তবে কি কথা হয়েছে তা মেয়ের পরিবারের কেউ জানেনা।

ভোর চারটার দিকে তার খালাত বোন তোহা (১২) তার মামা ওমর ফারুকের ঘরে ঝুলন্তবস্তায় আনিসার লাশ দেখতে পায়। তার ডাক চিৎকারে বাড়ি লোকজন ছুটে এসে ঘরের আড়ার সাথে ছাদুর পেঁছানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে ঘটনা জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

ফোনে আনিছার ভাই সোহাগ এ প্রতিনিধিকে জানান ফোনে আমার বোনের সাথে এমন কোন কথাবার্তা হয়েছে, যার কারনে সে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। তার মারা যাওয়ার কথা বাদলের বাবা মা শুনলে ও এ পর্যন্ত কেউ আসেনী।

তবে এলাকার লোকজন বলছে ভিন্ন কথা, আনিসাকে অন্যত্রে বিয়ে দেওয়ার কথাবার্তা হয়েছিল, যার জন্য সে এ পথ বেছে নিয়েছে। তবে এমন কথা তার পরিবার অস্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল মান্নান বলেন লাশ মর্গে প্ররণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কোন কারণে সে এমন কাজ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃর্ত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।