শাহরাস্তিতে পৌর কাউন্সিলর শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মামলা

  • আপডেট: ১১:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • ৩০

মো হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া: চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার ১২ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহনেওয়াজ এর বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী নথিপত্র আলোকে জানাযায়, গত ১১ অক্টোবর পৌরসভার বিশারা গ্রামের মোহাম্মদ ইব্রাহীম (৬০) চাঁদপুরের বিজ্ঞ বিচারক আমলী আদালতে (শাহরাস্তি) এ মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে আদালত মামলা রেকর্ড করার জন্য শাহরাস্তি থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, বাদী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সাথে একই গ্রামের মৃতঃ আঃ মতিনের পুত্র আনোয়ার হোসেন শাহীনের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠকে শাহীন ওই ভূমির দখল ছেড়ে দেয়ার অঙ্গীকার করে। ওই গ্রামের মৃতঃ আঃ আজিজের পুত্র শাহরাস্তি পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহনেওয়াজের প্ররোচনায় শাহীন উক্ত ভুমির দখল হস্তান্তরে বিলম্ব করে। মামলার বাদী বিরোধকৃত ভূমিতে দালান নির্মাণের জন্য সামগ্রী এনে রাখলে গত ৮ অক্টোবর পৌর কাউন্সিলর ২০/২৫ জন লোক নিয়ে বাদীর বসতঘরের সামনে এসে গালমন্দ করে। গালমন্দের কারন জিজ্ঞেস করলে কাউন্সিলর নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

নির্মাণকাজ করতে হলে তাকে পরদিন সূর্যাস্তের পূর্বে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানান। চাঁদা না পেয়ে পরদিন ৯ অক্টোবর রাত পৌনে ১২টার দিকে কাউন্সিলর শাহনেওয়াজ বাদীর নির্মাণ সামগ্রী পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিলে কাউন্সিলরের সাথে থাকা লোকজন মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও তার পুত্র আরিফুল ইসলামকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে কাউন্সিলরের সাথে থাকা মৃতঃ আঃ হকের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৫২) ইব্রাহীমের ঘরে প্রবেশ করে সুকেইচের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। সাথে থাকা লোকেরা ইব্রাহীমের একটি টিনের ঘর কুপিয়ে নষ্ট করে ফেলে।

মামলার বাদী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, কাউন্সিলর মোঃ শাহনেওয়াজের ভয়ে গভীর রাতে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যেতে পারিনি। পরদিন সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিজে ও পুত্রকে চিকিৎসা করাই।শাহরাস্তি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল মান্নান জানান, এ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ পেয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মামলার বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর মোঃ শাহনেওয়াজ মুঠোফোনে জানান, এ মামলা বানোয়াট ও সাজানো। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যখ্যা দিবেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

শাহরাস্তিতে পৌর কাউন্সিলর শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মামলা

আপডেট: ১১:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

মো হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া: চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার ১২ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহনেওয়াজ এর বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী নথিপত্র আলোকে জানাযায়, গত ১১ অক্টোবর পৌরসভার বিশারা গ্রামের মোহাম্মদ ইব্রাহীম (৬০) চাঁদপুরের বিজ্ঞ বিচারক আমলী আদালতে (শাহরাস্তি) এ মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে আদালত মামলা রেকর্ড করার জন্য শাহরাস্তি থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, বাদী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সাথে একই গ্রামের মৃতঃ আঃ মতিনের পুত্র আনোয়ার হোসেন শাহীনের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠকে শাহীন ওই ভূমির দখল ছেড়ে দেয়ার অঙ্গীকার করে। ওই গ্রামের মৃতঃ আঃ আজিজের পুত্র শাহরাস্তি পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহনেওয়াজের প্ররোচনায় শাহীন উক্ত ভুমির দখল হস্তান্তরে বিলম্ব করে। মামলার বাদী বিরোধকৃত ভূমিতে দালান নির্মাণের জন্য সামগ্রী এনে রাখলে গত ৮ অক্টোবর পৌর কাউন্সিলর ২০/২৫ জন লোক নিয়ে বাদীর বসতঘরের সামনে এসে গালমন্দ করে। গালমন্দের কারন জিজ্ঞেস করলে কাউন্সিলর নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

নির্মাণকাজ করতে হলে তাকে পরদিন সূর্যাস্তের পূর্বে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানান। চাঁদা না পেয়ে পরদিন ৯ অক্টোবর রাত পৌনে ১২টার দিকে কাউন্সিলর শাহনেওয়াজ বাদীর নির্মাণ সামগ্রী পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিলে কাউন্সিলরের সাথে থাকা লোকজন মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও তার পুত্র আরিফুল ইসলামকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে কাউন্সিলরের সাথে থাকা মৃতঃ আঃ হকের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৫২) ইব্রাহীমের ঘরে প্রবেশ করে সুকেইচের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। সাথে থাকা লোকেরা ইব্রাহীমের একটি টিনের ঘর কুপিয়ে নষ্ট করে ফেলে।

মামলার বাদী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, কাউন্সিলর মোঃ শাহনেওয়াজের ভয়ে গভীর রাতে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যেতে পারিনি। পরদিন সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিজে ও পুত্রকে চিকিৎসা করাই।শাহরাস্তি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল মান্নান জানান, এ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ পেয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মামলার বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর মোঃ শাহনেওয়াজ মুঠোফোনে জানান, এ মামলা বানোয়াট ও সাজানো। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যখ্যা দিবেন।