একটি নক্ষত্রের বিদায়

  • আপডেট: ০২:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
  • ২৮

২০০৩ সালে এম এ মতিন এমপিকে একটি অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে বরণ। ছবি- নতুনেরকথা।

মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:

সততার অন্যন্য নায়ক এম এ মতিন। যার জীবনটি ব্যয় করেছেন জনসেবায়। দূঃখ-কষ্ট সবই ছিল তার জীবনে। শিক্ষক থেকে এসেছিল রাজনীতিতে। তার খান সাহেব জুনাব আলী মুন্সিও ছিলেন সাবেক এম এলও। অবশেষে চিরবিদায় হলো এক উজ্জল নক্ষত্রের। মঙ্গলবার সকাল ৯.১৫ মিনিটের সময় ঢাকা উত্তরার একটি হাসতালে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

এম এ মতিন (মতিন স্যার) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে ধরে জাগো দল থেকে বিএনপিতে ছিলেন। তার মৃত্যুও হয়েছে বিএনপির একজন অন্ধ সমর্থক থেকেই।

এক সময় তিনি হাজীগঞ্জ হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ছিলেন ভালো ফুটবলার খেলোয়াড়। অনেক কঠিন একজন শিক্ষক ছিলেন। পড়াতেন ইংরেজী। চলাফেরাও ছিল খুবই পরিপাটি। ঠিক ইংরেজদের মতো। তার সাবেক ছাত্ররা জানান, স্যার প্রতি ঘন্টায় শ্যুট পরিবর্তন করতেন।

এম এ মতিন (মতিন স্যার) হাজীগঞ্জ ১৯৭৭ সালে সখের বসবতি হয়ে নির্বাচন করেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আরো পড়ুন; চলে গেলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এম এ মতিন

পরবর্তীতে এ তরুণ চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরস্তি) আসন থেকে ধানের শীঘ প্রতীকে ৭৯, ৯১, ৯৬ (স্বল্প সময়) ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মোট ৪বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮৫ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সাবেক এমপি এম এ মতিন ২০০৩ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে চেক ও সার্টিফিকেট বিতরণ করছেন। ছবি-নতুনেরকথা।

প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ ২০০৫ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকে আত্মগোপনে যান। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে মনোনয়নপত্র পেয়েও গ্রহণ করেননি। ২০১৮ সালে প্রবীণ এ নেতাকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়।

এম এ মতিন ব্যক্তি জীবনে ১ ছেলে ৪ মেয়ের জনক।

প্রবীণ রাজনীতিক এম এ মতিনকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের নিজ গ্রাম পৌরসভাধীন টোরাগড় গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে বাবা-মায়ের পাশে সমাধিস্থ করা হবে বলে জানান তাঁর ছেলে মিঠু।

এম এ মতিনের বাবা খান সাহেব জুনাব মুন্সি পাকিস্তান আমলে এমএলএ ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্র অঞ্চলের জমিদার। তার ছিল ৪ ছেলে। এর মধ্যে এম এ মতিন ছিল সবার ছোট।

সাবেক এমপি এম এ মতিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

একটি নক্ষত্রের বিদায়

আপডেট: ০২:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:

সততার অন্যন্য নায়ক এম এ মতিন। যার জীবনটি ব্যয় করেছেন জনসেবায়। দূঃখ-কষ্ট সবই ছিল তার জীবনে। শিক্ষক থেকে এসেছিল রাজনীতিতে। তার খান সাহেব জুনাব আলী মুন্সিও ছিলেন সাবেক এম এলও। অবশেষে চিরবিদায় হলো এক উজ্জল নক্ষত্রের। মঙ্গলবার সকাল ৯.১৫ মিনিটের সময় ঢাকা উত্তরার একটি হাসতালে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

এম এ মতিন (মতিন স্যার) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে ধরে জাগো দল থেকে বিএনপিতে ছিলেন। তার মৃত্যুও হয়েছে বিএনপির একজন অন্ধ সমর্থক থেকেই।

এক সময় তিনি হাজীগঞ্জ হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ছিলেন ভালো ফুটবলার খেলোয়াড়। অনেক কঠিন একজন শিক্ষক ছিলেন। পড়াতেন ইংরেজী। চলাফেরাও ছিল খুবই পরিপাটি। ঠিক ইংরেজদের মতো। তার সাবেক ছাত্ররা জানান, স্যার প্রতি ঘন্টায় শ্যুট পরিবর্তন করতেন।

এম এ মতিন (মতিন স্যার) হাজীগঞ্জ ১৯৭৭ সালে সখের বসবতি হয়ে নির্বাচন করেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আরো পড়ুন; চলে গেলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এম এ মতিন

পরবর্তীতে এ তরুণ চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরস্তি) আসন থেকে ধানের শীঘ প্রতীকে ৭৯, ৯১, ৯৬ (স্বল্প সময়) ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মোট ৪বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮৫ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সাবেক এমপি এম এ মতিন ২০০৩ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে চেক ও সার্টিফিকেট বিতরণ করছেন। ছবি-নতুনেরকথা।

প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ ২০০৫ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকে আত্মগোপনে যান। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে মনোনয়নপত্র পেয়েও গ্রহণ করেননি। ২০১৮ সালে প্রবীণ এ নেতাকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়।

এম এ মতিন ব্যক্তি জীবনে ১ ছেলে ৪ মেয়ের জনক।

প্রবীণ রাজনীতিক এম এ মতিনকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের নিজ গ্রাম পৌরসভাধীন টোরাগড় গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে বাবা-মায়ের পাশে সমাধিস্থ করা হবে বলে জানান তাঁর ছেলে মিঠু।

এম এ মতিনের বাবা খান সাহেব জুনাব মুন্সি পাকিস্তান আমলে এমএলএ ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্র অঞ্চলের জমিদার। তার ছিল ৪ ছেলে। এর মধ্যে এম এ মতিন ছিল সবার ছোট।

সাবেক এমপি এম এ মতিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।