করোনায় মৃত্যু সন্দেহে দাফনে বাঁধা, নিজেই খাট বহন করে কবর স্থানে নিয়ে গেলেন চেয়ারম্যান

  • আপডেট: ০৮:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০
  • ৪৭

বিশেষ প্রতিবেদন:

করোনা সন্দেহে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের ঢশুয়া গ্রামে আসা ঢাকা ফেরত এক পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফনে বাঁধা দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান টামটা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দর্জি। তিনি উপস্থিত হয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। তবে এলাকার কেউই এগিয়ে না আসায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজে তদারকের মাধ্যমে লাশের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করেন।

প্রসংগত, টামটা উত্তর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ঢুশুয়া মুন্সী বাড়ির মরহুম দেলোয়ার মাষ্টারের ছোট ভাই সামছুল আলম (৫৭) ঢাকায় একটি স্বনামধন্য গার্মেন্টস এ পোশাক শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় তিনি মারা যায়। তখন গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দেয় যে, এই লাশ গ্রামে আনা যাবেনা, দাফন কাফন করা যাবেনা। এই কথাটি স্থানীয় চেয়ারম্যান মহোদয় অবগত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেন। তার দিকনির্দেশনায় চেয়ারম্যান নিজে, রাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ওবায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে সৎকার ও দাফন কাফন শেষ করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি মডেল থানার এস আই ইদ্রিস ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।

শাহরাস্তি থানার ওসি শাহ আলম এলএলবিজানান, করোনা সন্দেহে লাশ দাফনে এলাকার লোকজন বাধা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং পাহারায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

ইউপি চেয়্যারম্যান ওমর ফারুক দর্জি বলেন, ঢাকা থেকে পোশাক শ্রমিকের মরদেহ আসে। কিভাবে মারা গেছেন, পরিবারের লোকজন স্পষ্টভাবে তেমন কিছুই বলেনি। এলাকাবাসীর আপত্তির বিষয়টি জেনে আমি নিজে সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনগণকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করি।স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানিয়ে দ্রুত লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি।

শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী সাজিদ মাহমুদ সাদ্দাম বলেন, করোনা সন্দেহে ওই পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফনে স্থানীয় কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

বেলচোঁ বাজারে স্পীড ব্রেকারের দাবীতে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন

করোনায় মৃত্যু সন্দেহে দাফনে বাঁধা, নিজেই খাট বহন করে কবর স্থানে নিয়ে গেলেন চেয়ারম্যান

আপডেট: ০৮:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদন:

করোনা সন্দেহে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের ঢশুয়া গ্রামে আসা ঢাকা ফেরত এক পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফনে বাঁধা দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান টামটা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দর্জি। তিনি উপস্থিত হয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। তবে এলাকার কেউই এগিয়ে না আসায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজে তদারকের মাধ্যমে লাশের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করেন।

প্রসংগত, টামটা উত্তর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ঢুশুয়া মুন্সী বাড়ির মরহুম দেলোয়ার মাষ্টারের ছোট ভাই সামছুল আলম (৫৭) ঢাকায় একটি স্বনামধন্য গার্মেন্টস এ পোশাক শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় তিনি মারা যায়। তখন গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দেয় যে, এই লাশ গ্রামে আনা যাবেনা, দাফন কাফন করা যাবেনা। এই কথাটি স্থানীয় চেয়ারম্যান মহোদয় অবগত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেন। তার দিকনির্দেশনায় চেয়ারম্যান নিজে, রাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ওবায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে সৎকার ও দাফন কাফন শেষ করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি মডেল থানার এস আই ইদ্রিস ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।

শাহরাস্তি থানার ওসি শাহ আলম এলএলবিজানান, করোনা সন্দেহে লাশ দাফনে এলাকার লোকজন বাধা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং পাহারায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

ইউপি চেয়্যারম্যান ওমর ফারুক দর্জি বলেন, ঢাকা থেকে পোশাক শ্রমিকের মরদেহ আসে। কিভাবে মারা গেছেন, পরিবারের লোকজন স্পষ্টভাবে তেমন কিছুই বলেনি। এলাকাবাসীর আপত্তির বিষয়টি জেনে আমি নিজে সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনগণকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করি।স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানিয়ে দ্রুত লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি।

শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী সাজিদ মাহমুদ সাদ্দাম বলেন, করোনা সন্দেহে ওই পোশাক শ্রমিকের লাশ দাফনে স্থানীয় কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।