• ঢাকা
  • বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৮ জুন, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৮ জুন, ২০১৯

মাত্র দুই লাখ টাকার জন্য নিভে যাচ্ছে অভাবে থেমে যাবে রাফিয়ার জীবন!

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঘরের কোণে শুয়ে-বসে নীরব যন্ত্রণায় দিন পার করছেন চার বছর বয়সী রাফিয়া খাতুন। মুখ থেকে হারিয়ে গেছে হাসি। হৃদরোগে আক্রান্ত তিনি। মেঝেতে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শিশুটি।

পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের কাজীপাড়া মহল্লার দিনমজুর আবদুর রাজ্জাক ও গৃহকর্মী শরিফা খাতুনের ছোট মেয়ে রাফিয়ার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে অর্থাভাবে।

অশ্রুসিক্ত নয়নে আকুতি জানিয়ে মা শরিফা খাতুন যুগান্তরকে বলেন, ‘আল্লাহ গরীবের ঘরে এমন রোগ দেন কেন? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। ভাগ্য দোষে গরিব ঘরে বিয়ে হয়েছিল। তিলে তিলে সংসার গড়ে তুলেছিলাম। আমরা এখন টাকার কাছে হেরে যাচ্ছি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনেকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে বেঁচে যেতো আমাদের রাফিয়া।’

যে সময়ে সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করার কথা, সেই সময়ে মেয়ের দিন কাটে ঘরের কোণায় বন্দি হয়ে। যন্ত্রণায় কাতর রাফিয়া চিৎকার করে ডাকতে পারে না ‘মা তুমি কোথায়? ’

বাবা আবদুর রাজ্জাক জানান, জন্মের মাসখানেক পর রাফিয়ার বুকে ব্যথা ও বার বার বমি হতে থাকে। শ্বাসপ্রশ্বাসেও কষ্ট হয়। এরপর তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে।

পরে ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কার্ডিয়াক সার্জন প্রফেসর মোহাম্মদ শরীফুজ্জামানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশন ছাড়া রাফিয়াকে সুস্থ করা সম্ভব নয় বলে জানান ওই চিকিৎসক। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় দুই লাখ টাকা। অপারেশন হলে সুস্থ হবে রাফিয়া-এমনটা জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

পরে দিনমুজর বাবার পক্ষে টাকা জোগাড় করা সম্ভব না হওয়ায় রাফিয়াকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। অসহায় পরিবারটির কাছে রাফিয়ার চিকিৎসা করানো দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

তবে চিকিৎসা খরচ জোগাড় করতে রাফিয়ার বাবা-মা ঘুরেছেন জনপ্রতিনিধি থেকে সমাজের বিত্তবানদের কাছে। কোথাও মেলেনি সহযোগিতা। এখন ক্রমশই শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে রাফিয়ার। মেয়ের এমন অবস্থা দেখে পাগল প্রায় বাবা-মা।

রাফিয়ার পরিবারকে সহযোগিতা করতে চাইলে এই নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে- শরিফা খাতুন- ০১৭২৭৯৫৬১৬৬ (বিকাশ)।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • অন্যান্য এর আরও খবর
error: Content is protected !!