করোনার কোনো দেশ নেই, করোনার কোনো ধর্ম নেই:কামরুন্নাহার ভুঁইয়া 

  • আপডেট: ০৮:২১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
  • ২৫

কামরুন্নাহার-ফাইল ছবি।

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়াঃ

করোনার কোনো দেশ নেই, করোনার কোনো ধর্ম নেই। করোনা সাম্যবাদী ও গ্লোবালাইজেশনে বিশ্বাসী। বিশ্বায়নের সুফল ও কুফল দুটোই মানব সভ্যতাকে ভোগ করতে হয়। করোনা বিশ্বায়নের কুফল। মেনে নেওয়া ও প্রতিহত করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। করোনার দেশ-জাতি ও ধর্ম নিয়ে গবেষণা না করে, মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা মোকাবিলা করা আমাদের আশু কর্তব্য। এতে অন্য  কোনোটাতেই কাজ হবে না।

কাজেই  কোন কিছুকে পোলারাইজেশন না করে সবাইকে এক সঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে। এতে কিছু দিন একে অপরের দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, মানসিক দূরত্ব নয়। মানসিক ও আদর্শগত দিক থেকে এক থাকলেই চলবে। আসুন বাঁচি, মানুষকে বাঁচতে সাহায্য করি। আমরা নিজ দায়িত্ব পালন করে  আলোর দিশা খুঁজি। যদিও ‘সুচেতনা আজ দূরতর দ্বীপ বিকেলের নক্ষত্রের কাছে’ তবু আমরা আশাবাদী। ‘আমরা করব জয় নিশ্চয়’।

যতটা সম্ভব, আমরা সাধ্য মতো জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও রাজনীতি নির্বিশেষে মানুষের জন্য একটু ভাবতে পারি । আমরা সবাই একে অপরকে বিপদে সাহায্য করতে ভালোবাসি। আসলে এটাই মানুষের ধর্ম। আমরা একে অপরের সঙ্গে সুখে-দুখে-আনন্দে থাকতে চাই। অন্যকে ঘৃণা ও হতাশ করা মানুষের ধর্ম নয়। এ পৃথিবী সবার বাসভূমি, পৃথিবীর সব কিছুতেই সবার সমান অধিকার আছে এবং সুন্দর পৃথিবী সবাইকে সুখ-সমৃদ্ধি দিতে পারে। আমাদের জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমরা ভালো থাকার পথ হারিয়ে ফেলছি। লোভ মানুষের মনকে কলুষিত করে তুলেছে। মানুষ হিংসা-দ্বেষ-গ্লানিতে গড়ে তুলেছে বিভেদের সুউচ্চ প্রাচীর। বিজ্ঞান -প্রযুক্তি আমাদের জীবনের গতি বাড়িয়েছে। আমরা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গেছি। কিন্তু জ্ঞান -বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের লৌহমানবে পরিণত করেছে।

আত্মকেন্দ্রিকতা, চালাকি আমাদের নির্দয় পাথুরে রোবটে পরিণত করেছে। আমরা ভাবি অনেক, কিন্তু অনুভব করি খুব কম। এখন যান্ত্রিকতার চেয়ে মানবিকতা অনেক বেশি প্রয়োজন। চালাকির চেয়ে আমাদের বেশি প্রয়োজন মানবিকতা ও মহানুভবতা। এ সমস্ত গুণ ছাড়া জীবন হয়ে ওঠে সহিংস এবং এতে আমাদের সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এরোপ্লেন, রেডিও, টিভি প্রভৃতি আমাদের জীবনকে অনেক আনন্দপূর্ণ ও সহজ করে তুলেছে। হাতের মুঠোয় পৃথিবী নিয়ে ঘুরছি। আমরা সব পেয়েছির পৃথিবী গড়তে গিয়ে পরকে করেছি ঘর; ঘরকে করেছি পর। তাতে আমাদের মানসিক দূরত্ব বেড়েছে শত যোজন। মানুষের সৃষ্টি কাঁদছে মানুষের মহানুভবতা ও ঐক্যের অভাবে।

কিন্তু আমাদের হতাশ হলে চলবে না। আমাদের মন আছে, মনন আছে। আছে প্রেম, ভালোবাসা, মানবিকতা । স্রষ্টার সাম্রাজ্যে সবাই সমান। মানুষের মধ্যেই স্রষ্টা বিরাজ করেন। একজন মানুষের মধ্যে নয়। আপনার মধ্যে, আমার মধ্যে, আমাদের সবার মধ্যে স্রষ্টা বিরাজ করেন। আমাদের সবার একটা শক্তি আছে, যার দ্বারা মেশিন বানিয়েছি, যুদ্ধের জন্য অস্ত্র বানিয়েছি। আসুন, সেই শক্তি দিয়ে সুখ উৎপাদন করি ও জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলি। সেই শক্তি দিয়ে একত্রিত হই। একটা নতুন পৃথিবী গড়ি, যে পৃথিবী দেবে নতুন প্রাণশক্তি, সুন্দর মনের মানুষ। যে পৃথিবী সবাইকে দেবে আশার ভালোবাসার ভবিষ্যৎ। আসুন, আমরা লড়াই করি এক নতুন পৃথিবীর জন্য, যে পৃথিবীকে আলোর পথ দেখাবে। সমস্ত মানুষের জন্য নিয়ে আসবে হ্যাপিনেস। তখন পৃথিবীর সব ঝড় থেমে যাবে। অনন্ত রাত্রির বুক চিরে নতুন সূর্য উঠবে।

            জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।।

                কামরুন্নাহার ভূঁঞা

সহ-সভাপতি – কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ চাঁদপুর।

সদস্য – শাহবাগ থানা আওয়ামীলীগ মহানগর দক্ষিণ ঢাকা।

সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ কচুয়া চাঁদপুর।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

করোনার কোনো দেশ নেই, করোনার কোনো ধর্ম নেই:কামরুন্নাহার ভুঁইয়া 

আপডেট: ০৮:২১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়াঃ

করোনার কোনো দেশ নেই, করোনার কোনো ধর্ম নেই। করোনা সাম্যবাদী ও গ্লোবালাইজেশনে বিশ্বাসী। বিশ্বায়নের সুফল ও কুফল দুটোই মানব সভ্যতাকে ভোগ করতে হয়। করোনা বিশ্বায়নের কুফল। মেনে নেওয়া ও প্রতিহত করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। করোনার দেশ-জাতি ও ধর্ম নিয়ে গবেষণা না করে, মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা মোকাবিলা করা আমাদের আশু কর্তব্য। এতে অন্য  কোনোটাতেই কাজ হবে না।

কাজেই  কোন কিছুকে পোলারাইজেশন না করে সবাইকে এক সঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে। এতে কিছু দিন একে অপরের দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, মানসিক দূরত্ব নয়। মানসিক ও আদর্শগত দিক থেকে এক থাকলেই চলবে। আসুন বাঁচি, মানুষকে বাঁচতে সাহায্য করি। আমরা নিজ দায়িত্ব পালন করে  আলোর দিশা খুঁজি। যদিও ‘সুচেতনা আজ দূরতর দ্বীপ বিকেলের নক্ষত্রের কাছে’ তবু আমরা আশাবাদী। ‘আমরা করব জয় নিশ্চয়’।

যতটা সম্ভব, আমরা সাধ্য মতো জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও রাজনীতি নির্বিশেষে মানুষের জন্য একটু ভাবতে পারি । আমরা সবাই একে অপরকে বিপদে সাহায্য করতে ভালোবাসি। আসলে এটাই মানুষের ধর্ম। আমরা একে অপরের সঙ্গে সুখে-দুখে-আনন্দে থাকতে চাই। অন্যকে ঘৃণা ও হতাশ করা মানুষের ধর্ম নয়। এ পৃথিবী সবার বাসভূমি, পৃথিবীর সব কিছুতেই সবার সমান অধিকার আছে এবং সুন্দর পৃথিবী সবাইকে সুখ-সমৃদ্ধি দিতে পারে। আমাদের জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমরা ভালো থাকার পথ হারিয়ে ফেলছি। লোভ মানুষের মনকে কলুষিত করে তুলেছে। মানুষ হিংসা-দ্বেষ-গ্লানিতে গড়ে তুলেছে বিভেদের সুউচ্চ প্রাচীর। বিজ্ঞান -প্রযুক্তি আমাদের জীবনের গতি বাড়িয়েছে। আমরা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গেছি। কিন্তু জ্ঞান -বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের লৌহমানবে পরিণত করেছে।

আত্মকেন্দ্রিকতা, চালাকি আমাদের নির্দয় পাথুরে রোবটে পরিণত করেছে। আমরা ভাবি অনেক, কিন্তু অনুভব করি খুব কম। এখন যান্ত্রিকতার চেয়ে মানবিকতা অনেক বেশি প্রয়োজন। চালাকির চেয়ে আমাদের বেশি প্রয়োজন মানবিকতা ও মহানুভবতা। এ সমস্ত গুণ ছাড়া জীবন হয়ে ওঠে সহিংস এবং এতে আমাদের সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এরোপ্লেন, রেডিও, টিভি প্রভৃতি আমাদের জীবনকে অনেক আনন্দপূর্ণ ও সহজ করে তুলেছে। হাতের মুঠোয় পৃথিবী নিয়ে ঘুরছি। আমরা সব পেয়েছির পৃথিবী গড়তে গিয়ে পরকে করেছি ঘর; ঘরকে করেছি পর। তাতে আমাদের মানসিক দূরত্ব বেড়েছে শত যোজন। মানুষের সৃষ্টি কাঁদছে মানুষের মহানুভবতা ও ঐক্যের অভাবে।

কিন্তু আমাদের হতাশ হলে চলবে না। আমাদের মন আছে, মনন আছে। আছে প্রেম, ভালোবাসা, মানবিকতা । স্রষ্টার সাম্রাজ্যে সবাই সমান। মানুষের মধ্যেই স্রষ্টা বিরাজ করেন। একজন মানুষের মধ্যে নয়। আপনার মধ্যে, আমার মধ্যে, আমাদের সবার মধ্যে স্রষ্টা বিরাজ করেন। আমাদের সবার একটা শক্তি আছে, যার দ্বারা মেশিন বানিয়েছি, যুদ্ধের জন্য অস্ত্র বানিয়েছি। আসুন, সেই শক্তি দিয়ে সুখ উৎপাদন করি ও জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলি। সেই শক্তি দিয়ে একত্রিত হই। একটা নতুন পৃথিবী গড়ি, যে পৃথিবী দেবে নতুন প্রাণশক্তি, সুন্দর মনের মানুষ। যে পৃথিবী সবাইকে দেবে আশার ভালোবাসার ভবিষ্যৎ। আসুন, আমরা লড়াই করি এক নতুন পৃথিবীর জন্য, যে পৃথিবীকে আলোর পথ দেখাবে। সমস্ত মানুষের জন্য নিয়ে আসবে হ্যাপিনেস। তখন পৃথিবীর সব ঝড় থেমে যাবে। অনন্ত রাত্রির বুক চিরে নতুন সূর্য উঠবে।

            জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।।

                কামরুন্নাহার ভূঁঞা

সহ-সভাপতি – কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ চাঁদপুর।

সদস্য – শাহবাগ থানা আওয়ামীলীগ মহানগর দক্ষিণ ঢাকা।

সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ কচুয়া চাঁদপুর।